শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রীকে পাত্তাই দিচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নজিরবিহীন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে গেছেন। ইতোমধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তবে জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে হাজার হাজার মানুষ কলম্বোর রাজপথে বিক্ষোভ করছে। ঢুকে পড়েছে বিক্রমাসিংহের অফিসে।
রনিল ভিক্রমাসিংহে রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে কারফিউ এবং সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরেও এই অবস্থা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের লড়াই এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তাদের দাবি, সরকারের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে এবং দেশের যে অবস্থা হয়েছে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হতে হবে।
এই অবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যা কিছু করা দরকার সেসব করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তার অফিসসহ সরকারি আরও যেসব ভবন বিক্ষোভকারীরা দখল করে রেখেছে সেগুলো থেকে তাদের চলে যাওয়ার জন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “সংবিধানকে আমরা ছিঁড়ে ফেলতে পারি না। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা দখল করবে এটা হতে দেওয়া যায় না। গণতন্ত্রের প্রতি ফ্যাসিবাদীদের এই হুমকির অবসান ঘটাতে হবে।”
কিন্তু তার এসব কথায় কেউ কান দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
কলম্বো থেকে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে দেশটির সেনাবাহিনী হয়তো রাজধানী কলম্বোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার এক সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিক্ষোভের সময় অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেশটির বিক্ষোভকারীদের দখলে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।