বাংলাদেশের চামড়া খাতের সম্ভাবনা বিপুল, বিশেষ করে বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে। তবে দেশে চামড়া খাতে বিশেষ সমস্যা কমপ্লায়েন্সের অভাব। আন্তর্জাতিক কিছু বাধ্যবাধকতা, রীতিনীতি তথা বিধিনিষেধ থাকায় এবং শ্রমিক ও কারখানার পরিবেশ মানসম্মত না হওয়ায় বহির্বিশ্বে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে চামড়া শিল্প। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ চামড়ার দাম অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ কম পাচ্ছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তথা রোডম্যাপ নিয়ে অগ্রসর হলে ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। সম্প্রতি একটি মাঠপর্যায়ের গবেষণা নিবন্ধে উঠে এসেছে এসব তথ্য। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বে বিপর্যস্ত হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। এই সময়ে চামড়া পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নিজেদের চামড়াজাত পণ্য- পাদুকা, ব্যাগ, বেল্ট ও অন্যবিধ পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করতে পারছে না আশাব্যঞ্জক হারে। দামও পাচ্ছে কম। প্রধান সমস্যা শিল্পকারখানার পরিবেশ তথা কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি, যেটি অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ দূষণকারী। সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থাপিত হলেও ইটিপি কমপ্লায়েন্স মানসম্মত নয়। ফলে, ধলেশ্বরীসহ পরিবেশ দূষণ চলছেই। উপেক্ষিত হচ্ছে শ্রম আইন ও শ্রমিকস্বার্থ। এসব সমস্যা অবিলম্বে দূর করতে না পারলে চামড়া খাতের বিপুল সম্ভাবনা থেকে যাবে অঙ্কুরেই।
দেশের চামড়া শিল্প স্বনির্ভর হয়ে অদ্যাবধি দাঁড়াতে পারল না দূরদর্শিতার অভাবে। যে কারণে এ খাতে রফতানি আয় কমছে গত কয়েক বছর ধরে। গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির চামড়া নিয়ে যা হয়েছে তাও মূলত সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষীদের দুরভিসন্ধি ও কারসাজি ছাড়া কিছু নয়। চামড়ার দাম না পেয়ে কাঁচা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলাসহ ফেলে দেয়ার খবরও মিলেছে। এহেন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প।
সাভারে ১৯৯ একরের বেশি জমির ওপর চামড়া শিল্পনগরী গড়ে উঠলেও সেটির অবস্থা মোটেও ভাল নয়। পরিবেশ দূষণ রোধে বিসিকের উদ্যোগে ৫৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের সহায়তায় কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মিত হলেও তা অসম্পূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। আসলে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা বিসিককে এরকম বড় একটি কাজের দায়িত্ব দেয়া ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি চরম অদক্ষতা ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। অন্যদিকে চৈনিক প্রতিষ্ঠানটিও দক্ষ ও অভিজ্ঞ নয়। বর্জ্য পরিশোধনাগার তথা সিইটিপির সংস্কার কাজ আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত হলে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ অর্জনের জন্য নিরীক্ষার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া রফতানি খাতে আয় কমেছে ৬ শতাংশ। করোনার কারণে যা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইটিপিসহ সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পুরোপুরি চালু তথা আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত হলে সহজসাধ্য হয়ে উঠবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার আরও সম্প্রসারণ করা এবং নায্য দামপ্রাপ্তি।
বাংলাদেশের চামড়া খাতের সম্ভাবনা বিপুল, বিশেষ করে বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে। তবে দেশে চামড়া খাতে বিশেষ সমস্যা কমপ্লায়েন্সের অভাব। আন্তর্জাতিক কিছু বাধ্যবাধকতা, রীতিনীতি তথা বিধিনিষেধ থাকায় এবং শ্রমিক ও কারখানার পরিবেশ মানসম্মত না হওয়ায় বহির্বিশ্বে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে চামড়া শিল্প। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ চামড়ার দাম অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ কম পাচ্ছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তথা রোডম্যাপ নিয়ে অগ্রসর হলে ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। সম্প্রতি একটি মাঠপর্যায়ের গবেষণা নিবন্ধে উঠে এসেছে এসব তথ্য। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বে বিপর্যস্ত হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। এই সময়ে চামড়া পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নিজেদের চামড়াজাত পণ্য- পাদুকা, ব্যাগ, বেল্ট ও অন্যবিধ পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করতে পারছে না আশাব্যঞ্জক হারে। দামও পাচ্ছে কম। প্রধান সমস্যা শিল্পকারখানার পরিবেশ তথা কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি, যেটি অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ দূষণকারী। সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থাপিত হলেও ইটিপি কমপ্লায়েন্স মানসম্মত নয়। ফলে, ধলেশ্বরীসহ পরিবেশ দূষণ চলছেই। উপেক্ষিত হচ্ছে শ্রম আইন ও শ্রমিকস্বার্থ। এসব সমস্যা অবিলম্বে দূর করতে না পারলে চামড়া খাতের বিপুল সম্ভাবনা থেকে যাবে অঙ্কুরেই।
দেশের চামড়া শিল্প স্বনির্ভর হয়ে অদ্যাবধি দাঁড়াতে পারল না দূরদর্শিতার অভাবে। যে কারণে এ খাতে রফতানি আয় কমছে গত কয়েক বছর ধরে। গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির চামড়া নিয়ে যা হয়েছে তাও মূলত সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষীদের দুরভিসন্ধি ও কারসাজি ছাড়া কিছু নয়। চামড়ার দাম না পেয়ে কাঁচা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলাসহ ফেলে দেয়ার খবরও মিলেছে। এহেন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প।
সাভারে ১৯৯ একরের বেশি জমির ওপর চামড়া শিল্পনগরী গড়ে উঠলেও সেটির অবস্থা মোটেও ভাল নয়। পরিবেশ দূষণ রোধে বিসিকের উদ্যোগে ৫৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের সহায়তায় কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মিত হলেও তা অসম্পূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। আসলে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা বিসিককে এরকম বড় একটি কাজের দায়িত্ব দেয়া ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি চরম অদক্ষতা ও অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। অন্যদিকে চৈনিক প্রতিষ্ঠানটিও দক্ষ ও অভিজ্ঞ নয়। বর্জ্য পরিশোধনাগার তথা সিইটিপির সংস্কার কাজ আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত হলে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ অর্জনের জন্য নিরীক্ষার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া রফতানি খাতে আয় কমেছে ৬ শতাংশ। করোনার কারণে যা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইটিপিসহ সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পুরোপুরি চালু তথা আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত হলে সহজসাধ্য হয়ে উঠবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার আরও সম্প্রসারণ করা এবং নায্য দামপ্রাপ্তি।