হাওরের ফসল রক্ষায় ৬ প্রস্তাবনা দিলেন ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি

12

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্ত হাওরের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ও আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসল রক্ষায় মতবিনিময় সভা করেন। সোমবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে দিরাইস্থ নিজ বাসভবনে বাপাউবো’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইউএনও, বাপাউবোর মাঠ প্রকৌশলী, ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি ৬ টি প্রস্তাবনা পেশ করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাপাউবো সিলেট উত্তর পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুুদুর রহমান মামুন, পাউবোর মাঠ প্রকৌশলী এটিএম মোলায়েম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় প্রমুখ।
ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি’র প্রস্তাবনা গুলোর প্রথমে প্রস্তাব হচ্ছে- জরুরী ভিত্তিতে কালনী, সুরমা, পিয়াইন নদীসহ অন্যান্য নদীগুলো খনন করা। দ্বিতীয় প্রস্তাবনা তুফানখালী, বৈশাখী, বোয়ালিয়া, মাছুয়াখাড়া বাঁধের উভয় দিকের গভীর গর্ত ভরাট। তৃতীয় প্রস্তাবনা চাপতির হাওরে কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ পুনরায় চালুকরা। চতুর্থতম প্রস্তাবনা কালনী, কুশিয়ারা নদীর সংযোগ স্থাপন করে সুইচ গেইট নির্মাণ অথবা সার্ভে করে অন্যকোনো স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা। পঞ্চম প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, কুলঞ্জ ইউনিয়নের আকিলশাহ হইতে শাল্লার প্রতাপপুর পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন ভাঙ্গণ রোধ করা। ষষ্ঠ প্রস্তাবনা চরনারচর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রাম রক্ষার্থে গ্রামের সামনে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ।
ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপি আরো বলেন, প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা হাওরের ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হলেও কার্যত টেকসই বাঁধ রক্ষায় ফলপ্রসূ হচ্ছে না। প্রস্তাবনায় উল্লেখিত বিষয়ে গুরুত্বারোপ না করা হলে নিরাপদে ফসল রক্ষা মোটেই সম্ভব নয়। তাই উল্লেখিত বিষয় গুলোতে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া অতীব প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি। এই প্রস্তাবনা গুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি আলোচনা করবেন বলে জয়া সেনগুপ্তা জানান।
উল্লেখিত প্রস্তাবনার বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবনা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখবো, বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হলে হাওরের ফসল অনেকটা নিরাপদে চলে আসবে, এমনকি পানিতে তলিয়ে যাবার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।