স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এলাকায় গত ৪ দিন গরু ও খাসির মাংস বিক্রি বন্ধ ছিলো। সিসিক নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান হয় এবং দাম বাড়ানোর দাবিতে এ ধর্মঘট ডেকেছিলেন মহানগরীর মাংস ব্যবসায়ীরা।
তবে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দাম পুনর্বিবেচনা’র আশ্বাসে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দোকানপাট খুলে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা। তবে সিসিক নতুন করে দাম নির্ধারণ করে না দিলেও ব্যবসায়ীরা ৬শ’ টাকার উপরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা জুনেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, উপশহরের একটি দোকানে গরুর মাংস কিনতে যাই। আমার কাছ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে সিসিককে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু শাহজালাল উপশহর নয়, নগরীর প্রায় প্রতিটি মাংসের দোকানে ৬শ টাকার উপরেই কেজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন- ৬০০ টাকায় গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করলে ‘পোষায় না’।
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোর সঙ্গে মাংসের দাম সামঞ্জস্য রাখার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিল সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা।
মাংস ব্যবসায়ীদের বক্তব্য- সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নগর এলাকায় গরুর মাংস ৬০০ ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীরা যে দামে গরু, খাসি কিংবা ছাগল কেনেন, তাতে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামে বিক্রয় করলে লোকসান গুনতে হয়। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অবহিত করা হলেও দেখবেন বলে জানান তিনি। পরে আর কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিলো।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালিক বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকায় মাংসের দাম বাড়লেও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দাম বাড়ানো হয়নি। এতে পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও দাম সামঞ্জস্য রাখার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ব্যবসা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করা হয়েছিল। পরে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিক আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কিংবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁরা যদি দাবি-দাওয়া না দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন করে বসেন, এতে সিটি কর্পোরেশনের কিছুই করার নেই। তবে বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীরা চাইলে মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।