সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হবে জানিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, হাওরের বাঁধের কাজে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। এ কাজে কেউ অনিয়ম করে থাকলে তাকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
নিশ্চয়ই অবগত আছেন, দুর্নীতির কারণে অনেক বড় বড় ঠিকাদারকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে, যোগ করেন উপমন্ত্রী শামীম।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে হাওরে যেহেতু ফসল ডুবে গেছে, সেজন্য আমরা রোববার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে উচ্চ পর্যায়েরএকটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। ওই তদন্ত কমিটি সুনামগঞ্জে এসে সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সেই তদন্তে যদি হাওরের বাঁধের কাজে কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা পিআইসির কেউ জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ কে এম এনামুল হক শামীম আরও বলেন, সুনামগঞ্জে এ বছর ৫৩০ কিলোমিটার বাঁধের কাজ করা হয়েছে। তার মধ্যে দেড়শ’ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাওর পরিদর্শনকালে উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামসহ অনেকে।