সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, সরকারি জাকাত ফান্ডে প্রাপ্ত অর্থ সব সময় যথাযথভাবে ইসলামি শরিয়া সম্মতভাবে ব্যয় করা হয়। রবিবার (৩ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি যাকাত ফান্ডের অর্থ প্রতিবছর অসহায় দুস্থদের কর্মসংস্থান, শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম, শিক্ষাবৃত্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন, দুস্থ মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। তিনি বিত্তবানদেরকে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত দেওয়ার আহ্বান জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু ছিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামেয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদিস মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (পিআরএল) ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, লেখক আফতাব চৌধুরী, জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন ও জালালাবাদ ইমাম সমিতির সেক্রেটারি মাওলানা হুসাইন আহমদ।
মূল প্রবন্ধে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে যাকাত ব্যবস্থা নেই, সেখানে আছে বিভিন্ন ধরণের কর। সৌদি আরবে আবার যাকাত থাকলেও কর নেই। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের করের পাশাপাশি যাকাত দেওয়ারও ব্যবস্থাও আছে। তাই সরকারের কোষাগারে কর প্রদানকারী অনেকের জিজ্ঞাসা, যে ব্যক্তি সরকারকে আয়কর দিচ্ছে, সে কেন আবার যাকাত দেবে? তবে প্রশ্নের উত্তরে ১৯৮২ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের গেজেটে বলা হয়েছে, পরিমান সম্পদের উপর যাকাত দেওয়া হবে, সে পরিমাণ সম্পদ আয়করের হিসেব থেকে ছাড় দেওয়া হবে।