মারিওপোলে রাশিয়ার যুদ্ধ বিরতি

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিওপোলে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ এই শহরটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অনুমতি দেয়ার জন্যই এই স্থানীয় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে মস্কো। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত বারদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে মারিওপোল থেকে জাপোরিঝিয়া পর্যন্ত একটি মানবিক করিডর খোলা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) থেকে এই মানবিক করিডর উন্মুক্ত হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই মানবিক কাজটি সফল করার জন্য আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি)-এর সরাসরি অংশগ্রহণে এটি চালানোর প্রস্তাব করছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার আগেই যুদ্ধ বিরতিকে ‘নিঃশর্তভাবে সম্মান’ করার বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ, ইউএনএইচসিআর, আইসিআরসিকে লিখিতভাবে জানাতেও কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘পশ্চিমারা রাশিয়াকে অবরুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে’ : রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়াকে অবরুদ্ধ করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মস্কো নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত ছিল। রাশিয়াকে অবশ্যই সত্যিকারের কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বব্যাপী মূল্য সংযোজন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের এক অর্থনৈতিক অশান্তির মধ্যে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে মেদভেদেভ আরও বলেন, মস্কো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রস্তুত ছিল। আর সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তুরস্কে ফের বৈঠকে বসছেন ল্যাভরভ-কুলেবা : ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কে ফের বৈঠক করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী আঙ্কারায় এই বৈঠক হবে বলে বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে কাভুসোগলু বলেন, আগামী এক কিংবা দুই সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। এই বৈঠক হবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে। আমরা সবাই ইউক্রেনে একটি টেকসই যুদ্ধ বিরতি চাই এবং উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একত্র হলে তা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি। পূর্বের বৈঠকের মতো আগামী বৈঠকেও তুরস্ক নিরপেক্ষ মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে।