স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ^নাথে স্কুল ছাত্রী অপহরণের মামলায় এক বখাটেকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালত ও শিশু আদালতের বিচারক এ. এম. জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- মো: মজনু মিয়া উরফে বজলুর রশিদ (২৪)। সে বিশ^নাথ উপজেলার আমতৈল জমশেরপুরের আব্দুল হকের পুত্র। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বিশ^নাথ এলাকার স্থানীয় একলিমিয়া দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল বখাটে মো: মজনু মিয়া উরফে বজলুর রশিদ। এমনকি মজনু মিয়া প্রেম নিবেদন করলে ওই ছাত্রী (১৭) তার কথায় রাজি না হলে সে তাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ বিবাহের প্রলোভন দেখাতো। ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারী রাত ১০ টার দিকে স্কুল পড়–য়া ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের অজান্তে বৈরাগীবাজার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় বখাটে মজনু মিয়া ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা প্রদীপ দাশ বাদি হয়ে মো: মজনু মিয়া উরফে বজলুর রশিদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে বিশ^নাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫ (০৯-০৩-১৬)। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার ১২দিন পর মজনু মিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ভিকটিম তার পিতা-মাতার সাথে রয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ৬ জুন বিশ^নাথ থানার এসআই (নি:) কল্লোল গোস্বামী একমাত্র মো: মজনু মিয়া উরফে বজলুর রশিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ৩১ জুলাই থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১০ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী মো: মজনু মিয়া উরফে বজলুর রশিদকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট শাহ মো: মোশাহিদ আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।