স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারে অপহরণকারীদের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মারুফ আহমদ। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ব্ল-ওয়ার্টার ভবনের পার্কিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওইদিন রাতেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয় মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। তবে এ রিমান্ড শুনানির তারিখ বুধবার অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার গভীর রাতে কোতোয়ালি থানার ওসির নেতৃত্বে এসআই অঞ্জন দেব নাথ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হামলাকারী দুজনকে গ্রেফতার করে। অপর অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতার অভিযান চলাচ্ছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-জালালাবাদ থানার টুকেরবাজারের মইয়ারচর গ্রামের তজম্মুল আলীর পুত্র শামীম আহমদ ও একই গ্রামের মোক্তার আলীর পুত্র সোহেল রানা।
সাংবাদিক মারুফ আহমদইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) সাধারণ সম্পাদক। সোমবার অপহরণের চেষ্টার সময় ওই ভবনের গ্যারেজের নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এসময় মারুফকে মারধর করে নগদ অর্থ ও জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় অপহরণের চেষ্টাকারীরা। একই সঙ্গে দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। এ ঘটনায় আহত মারুফকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ব্ল-ওয়ার্টার শপিং মলের আন্ডারগ্রাউন্ডে মোটরসাইকেল পার্কিং করার সময় হঠাৎ করে ৩ যুবক মারুফের ওপর হামলা করেন। একই সঙ্গে তাঁরা অপহরণের চেষ্টা চালান। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। হামলার পুরো ঘটনা ব্ল-ওয়াটার মার্কেটের সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায় অপহরণকারীদের কর্মকান্ড। সিসিটিভি ফুটেজে নেভি ব্ল রঙের টিশার্ট পরা একজনকে দেখা যায়।
সাংবাদিক মারুফ বলেন, লোকজন এগিয়ে আসলে ওই ৩ যুবক আমার মানিব্যাগ, নগদ সাতানব্বই হাজার টাকা ও জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাবার সময় আমাকে সুযোগে পেলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। মামলার প্রেক্ষিতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক আছে। তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও সব আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন ইলেকট্রনিকস মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজার) সিলেট।
সংগঠনের সহসভাপতি দিগেন সিংহ বলেন, এই হামলার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সেটি খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করছি। এর পেছনে আর কারা আছে, তা খুঁজে বের করতে হবে।