দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহত মারুফ আহমদের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠীরা।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, কামালবাজারের মতো একটি শান্তিপ্রিয় অঞ্চলে এই নারকীয় হত্যাকান্ড কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। কামালবাজারে এই হত্যাকান্ড এই অঞ্চলের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। অবিলম্বে এই খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলা সভাপতি মাসুদ রানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও রুমন মিয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোঃ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন, রেদুয়ান আহমদ, নবজিৎ বহন, সায়েম আহমদ, ফেরদৌস আহমদ, তারেক আহমদ, নিজাম উদ্দিন, বিলাল আহমদ, মামুন আহমদ, আজমল হোসেন, রিয়াজ আহমদ, রাহুল শুভ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটে সদস্য পদে মোঃ ছোয়াব আলী ফুটবল প্রতিকে ১১২ ভোট ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমির আলী তালা প্রতীকে সমান সংখক ভোট পান। একই ওয়ার্ডে মাহমুদুল হাসান রাজু আপেল প্রতিকে ১১০ ভোট পান।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আপেল প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাহমুদুল হাসান রাজু, সুফি আহমদ, ফয়জুল হক, জহুর আলী ও নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মোঃ ছোয়াব আলীর বাড়িতে হামলা করা হয়। এতে মোঃ ছোয়াব আলীর ছেলে মারুফ আহমদসহ পরিবারের ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত মারুফ আহমদকে প্রথমে সিলেটে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১টায় মারুফ আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি