মৌ’বাজারে হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

7
মৌলভীবাজারে হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি মূলত সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ হাওরাঞ্চলের সাত জেলার মসজিদের ইমামদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফা)র একটি প্রকল্প।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মুজাহিদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল কাদির ও অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট বিভাগের চার জেলা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫৭টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইফা। এই সাত জেলা নিয়েই দেশের হাওরাঞ্চল।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ইটনা, মিঠামইন, করিমগঞ্জ, কটিয়াদী, কুলিয়ারচর, নিকলী, পাকুন্দিয়া ও তাড়াইল, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া, বারহাট্টা, খালিয়াজুড়ি, মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দা ও মদন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া, নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এ প্রকল্প।
হাওরাঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ শীর্ষক এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবেন ২৫ হাজার ইমাম। প্রকল্পের আওতায় ইমামরা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে জীববৈচিত্র্য বিষয়ক খুতবা ও বয়ান (বক্তব্য) পেশ করবেন। এজন্য খুতবাপ্রতি বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ১৫০ টাকা। সেমিনারে মৌলভীবাজারের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হাওর, পাহাড় ও বনাঞ্চল সংরক্ষণে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়। এছাড়া সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আলোচনা করা হয়।