সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার বলেছেন, সিলেটের আইনজীবি ও বিচারকদের মধ্যে সু-সর্ম্পক রয়েছে, সেটা অন্যান্য যে কোনো বারের তুলনায় অনন্য এবং অসাধারণ। এই সম্পর্ক অটুট থাকুক কামনা করে তিনি বলেন, এটা ঐতিহ্যবাহী বার। এর অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। আরেকটি কারণে ধন্যবাদ দিতে চাই এই বারকে যে, ‘দেশের সব বারে রাজনীতির একটা প্রতিফলন আছে। কিন্তু সিলেট জেলা বারে রাজনীতির কোনো প্রভাব নেই। যদিও বারের প্রত্যেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।’ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেট জেলা বারের বার্ষিক নৈশভোজ পূর্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিলু ও মো. আকমল খানের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর দায়রা জজ মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কম্পেইন এন্ড ভিজিলেন্স কমিটির সাবেক সভাপতি ও সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেটের সরকারি কৌশলী খাদিমুল মিল্লাত মো. জালাল ও ৫০ বছরপূর্ণকারী আইনজীবীগণের পক্ষে পুর্নেন্দ পুরকায়স্থ প্রমুখ।
তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা এডভোকেট আবদুল করিম আকবরী, গীতা পাঠ করেন এডভোকেট সন্তোস ভট্টাচার্য্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হোসেন আহমদ।
অনুষ্ঠানে আইন পেশায় সিলেট জেলা বারে যারা ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এমন ১৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আইনজীবী পরিবারের ৩১ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের এককালিন বৃক্তি প্রদান করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে সমাজ বিষয়ক সম্পাদক মো. এজাজ উদ্দিন ও সহ- সমাজ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় জেলা বারে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী একশ জন প্রতিযোগির মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের আইনজীবী প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট-এর চ্যাম্পিয়ানশীপ টপি ও রানারআপ টপি বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি