বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ॥ জাতির জনকের ভাষণ ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মূলমন্ত্র

7
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা।

ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। মহান এই নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। বিশ্বজুড়ে জাতি পরিচিতি পায় বীর বাঙালি হিসেবে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে বলেন- জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে শুরু হয় আমাদের অন্ধকার হতে আলোর পথে অভিযাত্রা। কিন্তু সেই অভিযাত্রা শুরুর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের আলোর পথের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয়। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, এডভোকেট মোঃ নিজাম উদ্দিন, নাজনীন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, কবির উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, এডভোকেট রনজিত সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা বাছিত, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শামসুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এড. আজমল আলী, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী আব্দুল হাসিব মনিয়া, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, শাহাদাৎ রহিম, এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোঃ আব্দুল বারী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মোঃ জাকির হোসেন, এড. ফখরুল ইসলাম, এড. মনসুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ফাহিমা খানম মনি, সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সিলেট জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সালমা সুলতানা প্রমুখ।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন,আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১০ জানুয়ারি একদিনে আসেনি দীর্ঘ নয় মাস কঠিন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি। জাতির জনকের ভাষণ ছিলো আমাদের মূলমন্ত্র। এই ভাষণ আমাদেরকে উজ্জীবিত করতো। এখনো এই ভাষণ সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। দুর্ভাগ্য হলো বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার সাড়ে তিনবছরের মাথায় তাঁকে হারাই। অপশক্তিরা ভেবেছিল আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করে দেশের হাল ধরেছিলেন। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে অপশক্তিরা এখনো তৎপর। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অপশক্তিই কিছু করতে পারবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ভালো কর্মী তৈরি হলে ভালো সংগঠন তৈরি হয়। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কর্মী ও নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ২০৪১ সালে যে সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন দেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যাকে ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে শুধু তাঁকে সম্মানিত করেনি পুরো বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেছিলেন। তিনি দেশে ফিরে দেশ পুনঃগঠনের কাজে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু অপশক্তিরা তাকে হত্যা করার মাধ্যমে অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়। তবে জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,ইতিমধ্যে পানির বিল বৃদ্ধির জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ জানিয়েছে। পানির বিল সহনীয় পর্যায়ে আনার আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সিসিক’র পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সেজন্য মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মসূচী ঘোষণা করছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শনিবার রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে দুপুর ১২ টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিসিক’র উন্নয়নে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় সিসিক-কে ১২শ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এই টাকা নিয়েও প্রকল্প বাজি করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল। তিনি সকল নেতা-কর্মীবৃন্দকে উপস্থিত থাকার আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য ইতিমধ্যে সাংগঠনিক উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩/৪ টি গণতান্ত্রিকভাবে ইউনিট (আঞ্চলিক) কমিটি গঠন করার আহবান জানান। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আহবান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাহাত তরফদার, সৈয়দ কামাল, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান সায়েম, ৬,১২,২৩,২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ হায়দার মোঃ ফারুক, মানিক মিয়া, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেলিম।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, নুরুল ইসলাম পুতুল, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সেলিম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, জাফর আহমদ চৌধুরী, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক। সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন,মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ আব্দুল মালিক সুজন,এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ হায়দার মোঃ ফারুক, মুহিবুর রহমান সাবু, হাজী মোঃ ছিদ্দেক আলী, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, মোঃ নিজাম উদ্দিন ইরান ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ নজরুল ইসলাম নজু,এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আল আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া,এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, ফজল রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেলিম, মোঃ ছয়েফ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। বিজ্ঞপ্তি