ধর্মপাশায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

3

ধর্মপাশা থেকে সংবাদদাতা :
মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামে বসতঘরের বারান্দার আঁড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে জবা আক্তার (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। সে উপজেলার চামরদানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ওই ছাত্রীটির বাবা খায়রুল ইসলাম পেশায় একজন ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক।
মধ্যনগর থানা পুলিশ ও ছাত্রীটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই ছাত্রীর বসতঘরের বারান্দার আঁড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তার মা রোকেয়া আক্তার (৩৫)। খবর পেয়ে মধ্যনগর থানা পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুটি একঘেঁয়েমি স্বভাবের ছিল। এ জন্য তার বাবা মা প্রায়ই তাকে বকাঝকা করতেন। আর এ কারণেই অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এই মৃত্যু নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই ছাত্রীটির লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।