স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগ দেখা দেয় জনজীবনে। রবিবার ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সিলেটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির প্রভাবে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খুব একটা কর্মচাঞ্চল্য চোখে পড়েনি। সরেজমিনে নগরীর দক্ষিণ সুরমা, বন্দরবাজার, লামাবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজারসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রবিবার রাত থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ, ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছিলেন বেকায়দায়। একটানা বৃষ্টির কারণে নগরীর মানুষ সোমবার খুব একটা ঘর থেকে বের হননি। আর যারা বের হয়েছিলেন তারাও কোনোমতে কাজ শেষ করে ঘরে ফিরেন।
নগরীর বন্দরবাজারে কথা হয় রিলমহাচালক আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি বলেন, সকাল ৯টায় বের হয়েছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ২৩৫ টাকা রোজগার করেছি। এখনও দুপুরের খাবার খাইনি। তার উপর রিকশার গ্যারেজের ভাড়া ও পরিবারের সদাইপাতি করতে হবে।
জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, বৃষ্টির কারণে সোমবার ব্যবসা একেবারেই মন্দা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ডিসেম্বরে বৃষ্টি হলেও নিম্নচাপ কমে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেড়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। সোমবার সিলেটের গড় তাপমাত্রা ছিলো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির কারণে শীতের প্রভাব বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ সাইদ বলেন, আগামী ১০ দিন শীত বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর সিলেটের অঞ্চলে জানুয়ারির আগে খুব একটা শীত পড়ে না বলে মন্তব্য করনে তিনি।