সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথেই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দিনদুপুরের শত শত পরীক্ষার্থীর সামনে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট সরকারি কলেজের সামনে বাদাঘাট-মোল্লাপাড়া-ঘাগটিয়া সড়কে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মাহমুদুল হাসান নাঈম। সে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে ক্বারী মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে তাহিরপুর থানর ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, নাঈমকে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রাখা হয়েছে এবং তার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবারের অপহরণের চেষ্টা ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এসএসসি পরীক্ষার্থীগণ, বাদাঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার বাদাঘাটের এক কয়লা ব্যবসায়ীর ১৬ বছর বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় হতে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।
মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে সহপাঠিদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে পরীক্ষার ভেন্যু বাদাঘাট সরকারি কলেজ হতে বের হয়ে সড়কে আসা মাত্র কলেজের সামনের সড়কে অবস্থানরত নাঈম জোর পূর্বক ওই পরীক্ষার্থীকে অটো রিক্সায় তুলে নিয়ে অপহরণ চেষ্টা চালায়।
ওই সময় পরীক্ষার্থী ও তার সাথে থাকা সহপাঠির চিৎকার শুনে কলেজ ক্যাম্পাস ও সড়কে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অটো রিক্সা হতে ভিকটিমকে উদ্যার করে অপহরণচেষ্টা কারীকে পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপক্তার দায়িত্বে থাকা বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।
ভিকটিমের সহপাঠি অপর এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান, নাঈম ও তার থাকা কয়েকজন সহযোগি পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ও পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়া মাত্র আমাদের অনুসরণ করতে থকে, আমরা ভেবেছিলাম সবার সাথে নিরাপদে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে যাব কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই শত শত শিক্ষার্থীর সামনে অপহরণ করে নিয়ে যেতে নাঈম যে ধৃষ্টতা দেখায় তাতে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপহরণ চেষ্টার একটি ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ও অপহরণ চেষ্টাকারীর এবং তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়ে উঠেন এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষজন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলর বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু বলেন, আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে অপহরণ চেষ্টাকারী ও তার সাথে অন্যান্য সহযোগিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
নাঈমের মা মমতা বেগম (০১৬২৪-৩৩০৩৪৩) পাল্টা অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে অপরাধী হলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে, পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর মেয়ের বাবা কয়লা ব্যবসায়ী তোতা মিয়া নিজের পিস্তল বের করে পুলিশের সামইে আমার ছেলেকে হত্যা চেষ্টা চালায়।