মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। জমিতে ভাল ধান হওয়ায় হার না মানা কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।
এবার আমন ধান রোপণকালে অনেক দুর্ভোগের শিকার হন কৃষকরা। অনেকে হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষকদের মধ্যে অনেকে জানান, প্রথমে ধান রোপণকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে গিয়ে নিচু এলাকার অনেকের জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার দ্বিতীয় বার রোপণ করতে হয়েছে। অনেকে আবার তৃতীয় বারও রোপণ করেছেন। বারবার জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হলেও হাল ছাড়েননি হার না মানা কৃষকরা। তারা আবারো ধান রোপণ করেছেন। এখন জমিতে বাম্পার ফলন দেখে তাদের সকল কষ্ট যেন স্বার্থক হয়েছে। যে কারণে এবার এক সাথে ধান কাটা শুরু হয়নি। প্রথমে যাদের ধান নষ্ট হয়নি, শুধু তাদের ধান কাটা শুরু হয়েছে। পরে রোপণকৃত ধান এখনো কাটা শুরু না হলেও জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে আংশিক আমন ধান কাটা চলছে। আরো কিছু দিন পর পুরোদমে ধান কাটার ধুম পড়বে। যদিও প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারি সহায়তা ও সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের জমি আবাদে সাহস যুঁগিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে নমুনা ধান কর্তন করা হয়েছে। এ সময় সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অতিরিক্ত পরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার, উপ-সহকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর আমন জমি আবাদ হয়েছে। এবার সরকারি ভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৯০ মেট্রিকটন ধান। তবে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকরা সাহসিকতার পরিচয় যাচ্ছেন। যার ফলে বাম্পার ফলন উঠছে কৃষকদের গোলায়। এতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।