সিলেটে জনতা ব্যাংকের স্বয়ংক্রিয় চালান গ্রহণ কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় জনসাধারন তাদের নাগরিক সুবিধা গ্রহণের স্বার্থে বিভিন্ন ধরণের সরকারি ফি সহজে ব্যাংকের যেকোন শাখায় জমা দিতে পারছেন। বিশেষ করে গত রবিবার থেকে সিলেটের বিভিন্ন শাখায় জেলার এবং মহানগরীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করছেন।
ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা প্রদানে প্রচলিত পদ্ধতি সহজীকরণ, গ্রাহক ভোগান্তি হ্রাস, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধসহ সঠিক সময়ে চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিতের জন্য স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের যে কোনো শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা নেয়া যাবে। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯ শাখায় এবং সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২২৪ শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ গ্রহণ করা হয়। ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা প্রদানের প্রচলিত পদ্ধতি সহজীকরণ, গ্রাহক ভোগান্তি হ্রাস, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধসহ সঠিক সময়ে চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিতের জন্য স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের যে কোনো শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা নেয়া যাবে।
জনতা ব্যাংক লিমিটেড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ১৮ অক্টোবর সোমবার হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এলাকার বিভিন্ন শাখায় “স্বয়ংক্রিয় চালান” গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জনতা ব্যাংক লিমিটেড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতিতে বিভিন্ন সরকারি ফি/রাজস্ব জমাকরণ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য রোডশো কর্মসূচীর পালন করা হয়।
জনতা ব্যাংক লিঃ স্টেশন রোড, সিলেট শাখার ম্যানেজার আব্দুল মতিন বলেন, গ্রাহক ভোগান্তি হ্রাস, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধসহ সঠিক সময়ে চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিতের জন্য স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি জনগনের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা লাভের পাশাপাশি জনসাধারন দেশের আর্থিক উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে।
জনতা ব্যাংক লিঃ এর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,‘স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি’ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে। রাজস্ব জমা প্রদান ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত সম্ভব হবে। ‘স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি’র মাধ্যমে প্রতিটি চালানের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংক, হিসাবরক্ষণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে সঙ্গতিসাধনের ফলে সরকারের রাজস্ব জমা বাড়বে। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের প্রদত্ত হিসাবের মধ্যকার পার্থক্য দূর হবে। সরকারি প্রাপ্তি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য সরকারের আর্থিক অবস্থান ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল নিধারণে ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞপ্তি