ওসমানীনগরে রিকশা চালক বজেন্দ্রর মাথায় ৫টি আঘাতের চিহ্ন

9

থানায় হত্যা মামলা দায়ের

ওসমানীনগর সংবাদাদাতা

সিলেটের ওসমানীনগরে বজেন্দ্র শব্দকর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে বজেন্দ্রের মাথার পিছনে ৫টি আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড।
এদিকে, মৃতদেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর গতকাল রবিবার নিহতের স্ত্রী অনি শব্দকর ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে, এই মামলায় রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। নিহত বজিন্দ্র শব্দকর যে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছিলেন, সেটিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের লাল কৈলাশ গ্রামের রাজেন্দ্র শব্দকরের পুত্র বজেন্দ্র শব্দকর বিগত ২ বছর থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছেন। তার স্ত্রী অনি শব্দকর মঙ্গলচন্ডী নিশি কান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়ার চাকরী করেন। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে লেখা পড়া করছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ৪ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে বজেন্দ্র রিক্সা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন সম্ভব্য স্থানে খোঁজ করে কোন সন্ধান পাননি। ৫ মে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন উপজেলার বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নের প্রথম পাশা কবরস্থান সংলগ্ন কেওয়ালী পুলের পাশে বজেন্দ্রর লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মামলার বাদি নিহত ব্রজেন্দ্র শব্দকরের স্ত্রী অনি শব্দকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের শাস্তি দাবি করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অন্ত্র দিয়ে আমার স্বামীর মাথার পিছন অংশে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরে রিক্সাটি চুরি করে পালিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। এই ঘটনায় যে বা যারা জরিত তাদের আইনের আওতার আনার জন্য প্রশাসনের হস্থ্যক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই মিল্টন দে বিপিএম বলেন, বজিন্দ্র শব্দকরের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামী করে নিহতের স্ত্রী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রিক্সার খোঁজও করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত বিগত ৪ দিনে উপজেলায় বিভিন্ন ঘটনায় ৪টি লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। ৪ মে তাজপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের সোনারপার গ্রামের মাঠে আনহার আলী (৪৫) নামের এক রাজ মিস্ত্রির লাশ পাওয়া যায়। ৫ মে বজেন্দ্র শব্দকরের লাশ এবং সর্বশেষ ৬ মে শনিবার রাত ৮টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের সিলেটÑঢাকা মহাসড়ক পারাবারের সময় পিক আপ গাড়ীর চাপায় আরাজ আলী(৬২) নিহত হন। এর আগে ৩ মে বুধবার বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নে আলোয়ারপুর গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হন বৃদ্ধ মছব্বির আলী(৬০)।