আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে

5

কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও কমেছে। এতদিন দেশের প্রধান হাসপাতালগুলো করোনা রোগী নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থেকেছে যে, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় তেমন একটা নজর দিতে পারেনি। রোগীরাও খুব জরুরী না হলে হাসপাতালমুখী হতেন না। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। সাধারণ রোগীরা এখন আবার হাসপাতালমুখী। এমন পরিস্থিতিতে সরকার করোনা রোগীদের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া যায় কিনা এনিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করছে।
সময় বিবেচনায় এমন চিন্তা খুবই ইতিবাচক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি করোনা ইউনিট এখনও চালু রয়েছে। রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কমে এলেও এই ইউনিটের দিকে বিশেষ নজর দিতে হচ্ছে। হাসপাতালের গোটা ব্লক আটকে রাখতে হচ্ছে, ডাক্তার এবং নার্সদের একটি বড় অংশকে চিকিৎসা কাজে সময় দিতে হচ্ছে। সর্বোপরি করোনা ইউনিটের কারণে অনেক জটিল সাধারণ রোগী এই হাসপাতালে যেতে নিরাপদ বোধ করছে না। আগেও দেখা গেছে, প্রতিটি হাসপাতালে করোনা ইউনিট আলাদা থাকলেও সাধারণ রোগীদের বেড শূন্য ছিল। যাদের কোন উপায় ছিল না, কেবল তারাই ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এমন পরিস্থিতি শুধু ঢাকা মেডিক্যাল নয়, দেশের সকল বড় বড় হাসপাতালেই হয়েছে। এসব হাসপাতাল থেকে করোনা ইউনিটের রোগীদের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সাধারণ রোগীরা আরও বেশি নিরাপদ মনে করতেন। আমাদের দেশে রোগীর তুলনায় হাসপাতাল ও ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। এজন্য রোগীদের অনেক ভোগান্তিও পোহাতে হয়। বেডের অভাবে দেশের বড় সরকারী হাসপাতালগুলোতে মেঝেতে রোগী রেখে চিকিৎসা দিতে হয়। করোনা মহামারীতে বাধ্য হয়ে এই রোগীরা হাসপাতাল ছেড়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাওয়ায় আবার তারা হাসপাতালমুখী হচ্ছেন।