স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হক মোবাশ্বির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পান্নার সহযোগীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার দাবি করেছেন তার বড় ভাই মো. মুহিবুল হক। গতকাল রবিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, পান্না বেগম (১৯) হত্যাকাণ্ডে একা জড়িত নন। সংঘবদ্ধভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পান্নার সহযোগীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা গেলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া পান্না বেগম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেও তার বক্তব্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। এ কারণে সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।‘
তিনি দাবি করেন, ‘অভিযুক্ত পান্না বেগম এই জবানবন্দির মাধ্যমে তার সহযোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কারও শেখানো কথায় এই কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।‘
মুহিবুল হক বলেন, ‘আমার ভাই মোবাশ্বির কখনও মাদকের সংস্পর্শে ছিলেন। অথচ, পান্না জবানবন্দিতে বলেছে, সে আমার ভাইকে মদের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করেছে। কিন্তু, পুলিশ কোনোধরনের মদের বোতল উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকে কোনো রড উদ্ধার হয়নি। সে বলেছে, আমার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু, পান্না বেগমের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনোধরনের যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।‘
ঘটনার দিন পান্না বেগমের জনৈক খালার মোবাইল থেকে মোবাশ্বিরের মোবাইলে একাধিকবার কল করার প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছে বড় ভাই মুহিবুল হক দাবি করেন, ‘ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটের স্বার্থে পান্নার মা-বাবা, ভাই-বোন ও খালাদের জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানালেও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেননি।‘
মোবাশ্বির একজন সচ্চরিত্র ও ভালো লোক ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের চরিত্রে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে পান্না জবানবন্দিতে নানা কথা বলেছে, যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমার ভাই একজন সমাজসেবি ও সালিশ ব্যক্তিত্ব। তাকে সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।‘ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত সত্য উদঘাটনের স্বার্থে তিনি পান্না বেগমের মা-বাবাসহ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলাম ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম হোসেন বখত, ইব্রাহিম আলী খন্দকার দলা, ইউপি সদস্য মো. সাদিক মিয়া, মুদাব্বির হোসেন, আব্দুল কাইয়ূম মাস্টার, বাহার উদ্দিন আহমদ, তাজরুল ইসলাম তাজুল, চাঁন মিয়া. আনা মিয়া, ফজলু মিয়া, রুহেল খন্দকার, মনিরুল ইসলাম তুরন, সামছুল হক প্রমুখ।