মৌ’বাজারে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১১ হাজার লিটারের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু

14

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরী রোগীদের সেবা দিতে ১১ হাজার লিটারের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হয়েছে।
রবিবার ২৪ অক্টোবর দুপুরে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট শুভ উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নেছার আহমদ। পরে হাসপাতাল হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মৌলভীবাজার বিএমএ সভাপতি ডা. শাব্বির হোসেন খান প্রমুখ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট বড় একটা যোগান। প্রতি লিটার তরল অক্সিজেন থেকে ৮৬০ লিটার গ্যাসীয় অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এটি সম্পন্ন হওয়ায় হাসপাতালের ২৫০ শয্যার প্রতি শয্যায় অক্সিজেন লাইন থাকবে, প্রয়োজনে রোগীর চাপ বিবেচনায় অতিরিক্ত রাখা যাবে। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারসহ যেখানে প্রয়োজন সেখানে লাইন রাখা যাবে। ফলে ভর্তিকৃত রোগীরা আগের চেয়ে বেশি সেবা পাবে।
এদিকে জেলা স্বাস্ব্য বিভাগ সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুসারে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধে ইউনিসেফের অর্থায়নে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত বছর উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ এগিয়েছে ধীরগতিতে। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট না থাকায় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, এতোদিন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এতে ঝুঁকিতে ছিলেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। দীর্ঘদিন পর হলেও চালু হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সার্ভিস। ফলে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের ভোগান্তি কমবে। এই প্ল্যান্টে রয়েছে- ভ্যাকুয়াম পাইপ লাইন সিস্টেমসহ লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক, নাইট্রাস অক্সাইজ, মেডিকেল মেডিকেল ভ্যাকুয়াম। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করছে ইউনিসেফ। চালু হওয়া লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক এর ধারণক্ষমতা ১১ হাজার লিটার।