কাজিরবাজার ডেস্ক :
জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় তুলনামূলক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল্যস্ফীতি ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে যাদের ন্যূনতম মাসিক আয় ২ হাজার ৩০০ ইউরোর (২ লাখ ২৯ হাজার টাকা প্রায়) কম, তাদের এককালীন ১০০ ইউরো (প্রায় ১০ হাজার টাকা) দেবে ফরাসি সরকার। এমনকি, যাদের গাড়ি বা মোটরসাইকেল নেই, তারাও এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
বিবিসির খবর অনুসারে, প্রায় সাত কোটি জনসংখ্যার দেশ ফ্রান্সে অন্তত ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যস্ফীতি ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম ধাপে আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে ভাতা পাবেন ব্যবসায়িক কর্মীরা। এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে অর্থ পাবেন সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী ও পেনশনভোগীরা। ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স জানিয়েছেন, ১০০ ইউরো ভাতা হবে পুরোপুরি করমুক্ত এবং এর পেছনে সরকারের ব্যয় হতে পারে ৩৮০ কোটি ইউরো। জ্বালানি শুল্ক কমালে এর চেয়েও অনেক বেশি ‘ক্ষতি’ হতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ইউরোপজুড়ে। এ পরিস্থিতির পেছনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর জ্বালানির চাহিদাবৃদ্ধি এবং বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। জ্বালানি বাজারে এমন অস্থিরতায় সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মাত্র ছয় মাস পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ অবস্থায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে মারাত্মক চাপের মুখে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ।
প্রধানমন্ত্রী ক্যাসেক্স জানিয়েছেন, গৃহস্থালী গ্যাসের বর্ধিত মূল্য ২০২২ সাল শেষ হওয়া পর্যন্ত অটুট থাকবে। তিনি জানান, দেশটির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পেনশনভোগী, দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ও প্রায় অর্ধেক কর্মজীবী ১০০ ইউরো ভাতা পাবেন।
ফ্রান্সে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১ দশমিক ৫৬ ইউরো (১৫৫ টাকা প্রায়) এবং পেট্রল ১ দশমিক ৬২ ইউরোতে (১৬১ টাকা প্রায়)।