বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ^নাথে চাঁন্দশির কাপনে বসবাসরত আইনুল হক (৫০) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যুর পর সিলেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বড়ভাই সিরাজুল হক (৬০)। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভরার গাঁওয়ের মৃত মফিজ উল্লাহর ছেলে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ^নাথের চাঁন্দশির কাপনে বসবাসরত আসামি রহমত আলীর বসতঘর সংলগ্ন গাড়ির গ্যারেজে তার ছোটভাই আইনুল হককে হত্যার অভিযোগ এনেছেন সিরাজুল হক। আর ঘটনার ১৪দিনের মাথায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৬জনকে আসামি করে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন, (বিশ^নাথ সিআর মামলা নং ৩২৩/২০২১ইং)।
ওইদিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতের বিচারক লায়লা মেহের বানু মামলাটি তদন্তের জন্যে বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানকে নির্দেশ দেন। সেইসাথে ঘটনাস্থল সরেজিমন পরিদর্শনসহ ৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ প্রদান করেন।
তবে, ৫ অক্টোবর সময় নির্ধারণ করা হলেও আদালত থেকে আরও ১০ কার্যদিবসের সময় নিয়েছেন ওসি গাজী আতাউর রহামন। এরই মধ্যে তিনি বিশ^নাথ ও জগন্নাথপুরের ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছেন। আর শিগগিরই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার কথা রয়েছে।
ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, চাঁন্দশিরকাপন গ্রামের মৃত ইছমত আলীর ছেলে রহমত আলী (৫৮), আরমান আলী (৫০), সুরুজ আলীর ছেল সানুর মিয়া (৪২), মনির আলী (৪৮), শরিস পুরের মৃত আশিক আলীর ছেলে দুদু মিয়া (৪৮), জগন্নাথপুরের দক্ষিণ পাড়ার আব্বাস আলীর ছেলে কমলা মিয়া (৩৫)। এছাড়া এ মামলায় আরও ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিশ^নাথ ও জগন্নাথপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন।
