শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন

4

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভানু লাল রায় (নৌকা) প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও এজেন্টদেরকে মারধর এবং ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আফজল হক (ঘোড়া) ও প্রেমসাগর হাজরা (আনারস)।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে কালিমন্দিরে সামনে আলাদাভাবে সাংবাদিকদের ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
শ্রীমঙ্গল পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা (আনারস) বলেন, দুপুরের পর আমার এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় সরকারি দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়মী লীগের নেতাকর্মীরা। তাছাড়া আমার ভাই ও আমার সমর্থককে মারধর করে রক্তাক্ত জখম বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে। বিশেষ উপজেলার আশ্রিদ্রোন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে ও পৌরসভাসহ অধিকাংশই কেন্দ্র ভোটারদের ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সরকারি দলের লোকজন বাক্স ভরেছেন। ভোটে চরম অনিয়ম হওয়ায় ভোট বর্জন করেছি। এখানে থেকে যারা নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা কখনও চা শ্রমিকদের ভোটে এমপি হতে পারবেন না। অভিযোগ লিখিতভাবে নির্বাচন কমকর্তাকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজল হক বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়মী লীগের সেক্রেটারীসহ মিলে আমার বিজয়কে বানচাল করে নৌকা বিজয়ের লক্ষ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এজেন্ট, পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে ব্যালেট বাক্সে ভরেছে। প্রশাসনও নির্বিকার। ভোট কারচুপির কারণে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, প্রার্থীর কাছ থেকে কোন লিখিত পাইনি। ভোট বর্জনের বিষয়টি আইনগত সিদ্ধ নয়। দুই প্রার্থীর ভোট বর্জনের কথা আমরা লোকমুখে শুনেছি। প্রার্থীরা আমাদেরকে জানায়নি। এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে কিছু ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সেটা সামাল দিয়ে দিয়েছেন। কোথাও কোন কারচুপি হয়নি।