কৃত্রিম সঙ্কটের কারণে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে ॥ শীঘ্রই বাজার মনিটরিং

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কৃত্রিম সঙ্কটের কারণে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৭০-৮০ এবং আমদানিকৃতটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে দেশে মজুদের পরিমাণ সন্তোষজনক। পূজা উপলক্ষে ভারতে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে দক্ষিণ ভারতে এবার পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই বাজার মনিটরিং করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
জানা গেছে, ভারত এখনও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেনি, এছাড়া সরকারীভাবে দাম বাড়ানো হয়নি। ভারতের বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২২-২৩ রুপী বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই হিসেবে ভারতের প্রায় ৩ গুণ বেশি দামে দেশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত কয়েক বছরের ন্যায় পেঁয়াজের বাজারে ভর করছে অক্টোবর আতঙ্ক। এবারও মৌসুম সামনে রেখে শেষ সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দায়ী বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাসহ সারাদেশে এখন পেঁঁয়াজের দাম উর্ধমুখী। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দাম। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলম খান বলেন, শ্যামবাজারের পাইকারির দোকানে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এ কারণে খুচরায় দাম বেশি। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারের যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে এবার পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হয়ে যেতে পারে। কারণ পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খুব কম হচ্ছে। ভারত ও মিসরের পেঁয়াজ বাজারে খুব একটা নেই। শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, বাজারে দেশী ও আমদানি সব ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর মাল কম থাকলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে, পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকা ও ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা (ন্যাপেড) রফতানির জন্য বরাদ্দকৃত পেঁয়াজের দাম না বাড়ানো সত্ত্বেও পণ্যটি আমদানিতে কোন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না দেশীয় আমদানিকারকদের মধ্যে। তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। সে কারণে ভারতেও সাময়িক পেঁয়াজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোন মনিটরিং নেই, ফলে বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বাজার মনিটরিং থাকলে দাম এতটা লাগামহীন হতো না।