সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ পিপিএম বলেছেন, খেলাধূলা শিক্ষা কার্যক্রমের একটি অংশ। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও শরীর ও মনকে চাঙ্গা করার জন্য নিয়মিত খেলাধূলা করেন। তবে নানান কারণে খেলাধূলার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। শহরে যারা বাস করেন তারা তো খেলাধূলা করার ফুসরতই পান না! অন্যদিকে খেলাধূলার স্থান বা মাঠ যাই বলি না কেন সেগুলোর অভাবে খেলাধূলায় মানুষের অংশগ্রহণের হার কমে গেছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলের অনেক স্কুল ও কলেজে খেলার কোন মাঠ নেই! তাই সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে (ইভটিজিং, মাদকাসক্ত) নিয়োজিত হয়েছে। এমনকি গ্রামাঞ্চলেও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হওয়ার হার অনেকাংশে কমে গেছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে শারীরিক শ্রমনির্ভর খেলাগুলো কমে গিয়ে মানুষ বর্তমানে প্রযক্তিগত অনেকগুলো মস্তিষ্ক নির্ভর খেলায় মত্ত রয়েছে। এতে করে তারা আত্মকেন্দ্রিক ও সহিংস হচ্ছে। কারণ এসব খেলা বা গেমগুলো সে একাই খেলে এবং খেলা বা গেমগুলো অনেকসময় সহিংসতানির্ভর আধেয় দ্বারা তৈরি। ফলশ্রুতিতে সমাজে আত্মকেন্দ্রিক ও আগ্রাসী মনোভাবে মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এসব প্রযুক্তিগত খেলা আবির্ভাবের সাথে সাথে গ্রাম্য খেলাধূলাগুলোও হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখনও অনেকে আছেন যারা ঠিকই শারীরিক শ্রমনির্ভর খেলাধূলা করে থাকেন।
তিনি শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৪টায় আখালিয়া বড়বাড়ী খলাপাড়া চান্দিয়ালার উদ্যোগে আখালিয়া বড়বাড়ী মসজিদের পিছনে বালুর মাঠে বিসিকের মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
হাজী সুলতান মিয়া বাদশা এর সভাপতিত্বে ও মো: একরাম হোসেন এবং হেলাল আহমদের যৌথ উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি আকাশ চৌধুরী, বনফুল এন্ড কোং সিলেট জোনের পার্টনার বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: শাহিন আহমদ, আখালিয়া নবাবী মসজিদ মার্কেট কমিটির সভাপতি তৈমুর রাজা, নতুন বাজার মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন (জয়), সাংবাদিক ইদ্দিস আলী, রাজু মিয়া এলাকার মুরব্বি, কনা মিয়া, সবুজ আহমদ, আলোচিত্রী কৃতিশ তালুকদার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি