কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বাজারে আধুনিক ঢাকনা সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা হওয়ার পরও ড্রেনেজের যাতায়াতের রাস্তা দখল করে মালামাল রাখার কারণে বাজারের ক্রেতারা নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। ড্রেনেজের উপর দিয়ে পাকা ঢাকনা রাস্তা করা হলেও কিছু ব্যবসায়ী রাস্তার উপর তাদের দোকানের মালামাল সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রেখে বিশেষ করে মহিলা সহ পথচারীদের চলা ফেরার মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন্ন সৃষ্টি করছেন। যার কারণে ড্রেনের রাস্তার উপর দিয়ে পথ যাত্রীদের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে।
জানা যায় যে, প্রায় ২ বছর পূর্বে কানাইঘাট বাজারের ময়লা আবর্জনা দূর সহ বাজারের গলিতে কাদা সহ জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে কোটি টাকা ব্যয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের তত্ত্বাবধানে পাকা ঢাকনা সহ আধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ইতি মধ্যে বাজারের মসজিদের মূল গেইট থেকে উত্তর বাজার ও মাছ বাজারের পিছন হইতে সুরমা নদী পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ড্রেনের কাজ করোনা থাকার কারণে বন্ধ থাকলেও আবারো পুনরায় শুরু হবে জানা গেছে। বাজারের যানজট নিরসন সহ যাতে করে ড্রেনের রাস্তার উপর দিয়ে বাজারে আগত জন সাধারণ তাদের কেনা-কাটা সহ স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করতে পারেন, এজন্য ড্রেনের রাস্তার উপরে দোকানের মালামাল রাখা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র না রাখার জন্য বাজার বণিক সমিতির পক্ষ থেকে বার বার উদ্যোগ নিলেও কিছু ব্যবসায়ীদের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারের ত্রিমোহনী পয়েন্টের উত্তর বাজার ড্রেনের রাস্তার উপর পাকা সিঁড়ি সহ কিছু ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র রেখে জনসাধারণের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। বাজারে আগত ক্রেতারা যাতে করে কোন ব্যবসায়ী ড্রেনের রাস্তার উপর মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা করতে না পারেন এজন্য পৌর কর্র্তৃপক্ষ উপজেলা প্রসাশন ও বাজার বণিক সমিতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ব্যপারে বাজার বণিক সমিতিরি সেক্রেটারী আব্দুল হেকিম শামীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন বাজারে আগত লোকজনরা যাতে করে স্বাভাবিক ভাবে কেনা কাটা ও চলাফেরা করতে পারেন এ জন্য বণিক সমিতির নেতৃব›ৃদ আন্তরিক হলেও আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছি। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে তিনি জানান।