কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাধারণ মানুষসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দমন ও অপরাধী শনাক্তের সুবিধার্থে জেলা শহর সুনামগঞ্জকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও স্থাপনাকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, নিজস্ব পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধায়নে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, মোড়, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ব্যস্ততম সড়কে পুলিশের নরজদারির জোরদারসহ যাবতীয় ক্রাইম কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
শহরের ব্যস্ততম পয়েন্ট আলফাত উদ্দিন স্কয়ার, পুশ্চিম বাজার, হোসেন বখত চত্ত্বর , আব্দুজ জহুর সেতু এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার বসানো হয়েছে। যার নজরদারীতে পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে দ্রুতই শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে সিসি ক্যামেরার আতায় নিয়ে আসা হবে পলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ী, সুধিমহলসহ পৌরশহরের বসবাসরত সাধারণ বাসিন্দারা। এমন উদ্যোগের কারনে পৌর এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কমার পাশপাশি জননিরাপত্তা জোরদার হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির এই ব্যবহার যাতে কার্যকর ও অব্যাহত থাকে সেই দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবু সাইদ বলেন, শহরবাসীর নিরাপত্তাবিধানে পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। যা অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃংখলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও পুলিশের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। আশা করবো এবার পুলিশ আরও তৎপর হবে। ধারবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে উন্নত এই প্রযুক্তির যথাযত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে সাধারণ মানুষ সুফল পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
পুলিশ সপার মিজানুর রহমান বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সকল এলাকাকে এই প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধ রহস্য উদ্ঘাটনে এসব ক্যামেরা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আমি চাই এই উদ্যোগটি স্থায়িভাবে চলমান রাখা।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় সুনামগঞ্জ শহরে অপরাধ প্রবণতা কমে গেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সুফল এসেছে। শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উঠতী বয়সী তরুণরা মোটরসাইকেল কিংবা বিভিন্নভাবে আড্ডা দিতে দেখা যায়। উঠতী বয়সী তরুণরা যাতে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়াতে না পারে সেইসব এলাকা পুলিশের নজরদারীর মধ্যে রয়েছে। সিসি ক্যামার স্থাপনে পুলিশের টেকনোলজি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।