আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
‘খুব শীঘ্রই নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ এমনই আশার বাণী শোনা যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে নতুন করে নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টালবাহানা চলছে। আঞ্চলিক এ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে মালবাহি ট্রাক খাদে পড়ে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ দু’জন নিহত ও একজন আহত হয়েছিলেন। বর্তমানে ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ৮টি সরু সেতুর মধ্যে ৫টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সেতুগুলোর পুননির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে এরও সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। প্রতিদিনই এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই শত শত যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৮টি সেতু। স্বাধীনতার অনেক আগে এ সেতুগুলোর মধ্যে ৫টি নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তার পরও এসব সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। সড়কে চলাচলকারি একাধিক চালক জানান, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে দুটি সেতু ছাড়া সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব সেতুর ঢালাই উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর পরও ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রত্যেহ ঘটছে। স্থানীয়রা বলেন, কর্তৃপক্ষ নজর দিবেন তখন, যখন সেতু ভেঙ্গে বড় ধরণের প্রাণহানী ঘটবে।
ছাতক উপজেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় সহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার সড়কে তিনটি বেইলি ও ছয়টি সরু সেতু নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এসব সেতু নির্মাণে ১শ’৩ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প সম্প্রতি যাচাই-বাছাই শেষে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। একনেক বৈঠকে অনুমোদন হলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।