স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে করোনার ভয়াবহতা ও লকডাউনের কারণে প্রায় সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও পর্যটক মুখর হচ্ছে। এসব পর্যটন কেন্দ্র গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিনে প্রচন্ড বৃষ্টি থাকলেও সিলেটের প্রায় সকল পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের আশানুরূপ উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
জানা গেছে, সিলেটসহ দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র আজ বৃহস্পতিবার থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত ১২ আগস্ট। যার কারণে সিলেটের সকল পর্যটন এলাকা প্রস্তুত করে রাখা হয় পর্যটকদের জন্য। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিলেটের পর্যটন এলাকা, জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদা পাথরসহ বিভিন্ন এলাকায় নামতে থাকে মানুষের উপস্থিতি। প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেও মানুষকে এসব পর্যটন কেন্দ্রে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যায়। সকালের দিকে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে শতশত পর্যটকদের উপস্থিতি মুখরিত করে তুলে বিভিন্ন স্পটগুলো। সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকা এসব পর্যটন কেন্দ্র যেন ফিরে পায় প্রাণ।
জাফলং এ ঘুরতে আসা নগরীরে ইমরান আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন বাসায় থাকতে থাকতে বোরিং লাগছিল। গতকাল পরিবার নিয়ে ঘোরাঘরি করায় মনে প্রশান্তি লাগছে। কলেজ ছাত্র আরাফাতুল ইসলাম বলেন, কলেজ বন্ধ থাকায় অলস সময় পার করছি। তাই কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে জাফলংয়ের সারি নদীর পানিতে নেমে নৌকা চড়ে আনন্দঘন দিন কাঠিয়েছে।
এদিকে বিকেল থেকেই নগরীর হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ মাজারেও দেখা যায় ভক্ত-আশেকানদের ভিড়। শহরের ভেতরে এই দুই মাজার বাদেও নগরীর ওসমানী শিশু পার্কেও দর্শনার্থীদের দেখা গেছে।
নগরীর জিন্দাবাজারের লন্ডন রেস্ট হাউস এর পরিচালক ফুয়াদ আহমদ বলেন, অনেক দিন হোটেল বন্ধ থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আজকে প্রথম দিনে হোটেলে বাহির জেলা থেকে কিছু লোক এসেছেন। দুই এক দিনের মধ্যে হোটেল ব্যবসা জমে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে পালনের জন্য তিনটি শর্ত আরোপ করা হয়। সেগুলো হলো : ১. পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। ২. সকলক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ৩. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।