কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ মহররমের ১০ তারিখ, পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসে দিনটি ঘটনাবহুল, শোকাবহ ও তাৎপর্যময়। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবেও স্মরণীয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল হচ্ছে না।
প্রতিবছর ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। তবে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভিন্ন এক পরিবেশে দিনটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে। তবে করোনার কারণে তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করায় ঘরোয়াভাবেই পবিত্র আশুরা পালিত হবে। যদিও ক’দিন আগে থেকেই রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ছোট শিশুরা আশুরা উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন শুরু করে দিয়েছে।
দেশের আকাশে ১০ আগষ্ট সন্ধ্যায় পবিত্র মহরম মাসের চাঁদ দেখা যায়। তাই ১১ আগষ্ট থেকে শুরু আরবি হিজরী- ১৪৪৩ সালের মহররম মাস। আর আজ ২০ আগষ্ট শুক্রবার ১০ মহররম পবিত্র আশুরা পালিত হবে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ সরকারী ছুটি। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আজ সংবাদপত্রগুলো বিশেষ প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এ ছাড়া রেডিও এবং বিটিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ শুক্রবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ১০ মহররম উপলক্ষে কারবালার ঘটনাবহ দিনকে স্মরণ করে নানা কর্মসূচী পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিল বের করা হয় শোকের আবহে।
ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল হবে না বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদেশে বলা হয়। এই আদেশে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবাদত-বন্দেগি পালন। এছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদে বিশেষ কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এই দিনে অধিক পুণ্য লাভের আশায় দান-খয়রাতসহ নানা ধরনের এবাদত বন্দেগি পালন করবেন।