কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ১৪ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ২১৯ জন অর্থপেডিক চিকিৎসককে নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। সড়ক দুর্ঘটনাসহ আঘাতজনিত কারণে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাদের এই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানান গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসায় অর্থপেডিক বিভাগে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে আগের দেওয়া প্রস্তাবের আলোকেই।’
জানা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বিশেষ চিকিৎসায় জনবল কম থাকায় জরুরি চিকিৎসায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রতিদিনই রোগী স্থানান্তর করা হয়। অথচ এই হাসপাতালগুলোয় রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম। এ কারণে এই হাসপাতালগুলোয় শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর এরই আলোকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ২১৯ পদের অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ থেকে জানানো হয়, যত জনবল প্রয়োজন, তার চেয়ে কম জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে অর্থপেডিক বিভাগের জন্য স্বাস্থ্য ক্যাডারের এক হাজার ৩১ জন চিকিৎসককে নেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫৬৪ পদে নিয়োগের অনুমোদন দেয়। নিয়োগ বিধি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় আরও ১২টি পদের অনুমোদন হয়নি। ফলে ওই বছর মাত্র ১৪৩টি পদে জনবল নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া যায়। বাকি থাকে আরও ৪০৯টি পদ। এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৪০৯টি পদের জন্য অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগে পাঠানো হলে ২০১৭ সালে ২১৯টি পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোয় শূন্যপদের বিপরীতে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত বছর ১৭ ডিসেম্বর ত্রিপুরা থেকে দেশে ফেরার পথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, দুই দফায় ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ সম্প্রতি জানান, ‘দুই দফায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১০ হাজার চিকিৎসক নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৫০০ জন ডেন্টাল সার্জন থাকবেন।’