ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে যুবকের উত্যক্তের ঘটনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক গৃহবধূ। সে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর প্রকাশিত তেঘরী নোয়াগাঁও গ্রামের দুবাই প্রবাসী রাকিব আলীর স্ত্রী মমতা বেগম (২৪। তার ৪ বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে। শনিবার দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার লাকাকাজী ইউনিয়নের দেওয়াননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন গৃহবধু মমতা বেগম। পাশের বাড়ির ইরশাদ আলীর বখাটে ছেলে জামাল মিয়া তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিল। তার যন্ত্রনায় স্বামীর বাড়িতে থাকতে পারতেন না তিনি। এ জন্য তিনি পিত্রালয় ও মাঝে মধ্যে ছোট বোনের বাড়িতে বসবাস করতেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও পিছু ছাড়ে না বখাটে জামাল।
সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দেওয়াননগর গ্রামে ছোট বোনের জামাই আমির মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান মমতা। সেখানে গিয়েও উত্যক্তসহ তাকে অপহরণের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল ওই বখাটে। বখাটের অব্যাহত উত্যক্ত ও অপহরণের হুমকিতে এবং মান সম্মানের ভয়ে গৃহবধু পরিবারের সদস্যদের অজান্তে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করে। তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মমতাকে দেখে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বিকেলে বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে লাশ দাফন করা হয়।
নিহতের বোন জামাই আমির আলী বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামের ইরশাদ আলীর বখাটে ছেলে জামাল মিয়া তার শ্যালিকাকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে উত্যক্তসহ অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিল। তার এমন অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে মমতা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদ বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।