আবদুল বাছেত (মিলন) :
আল কুরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য হেদায়াত ও রহমত। প্রত্যেক মুসলমানদেরকে আল কুরআন শিখে নেয়া ফরজ। আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা বলেন ঃ
তোমরা সহিহ শুদ্ধ করে থেমে থেমে কুরআন তেলাওয়াত করো। (সূরা আল মুযযাম্মেল, ৭৩ : ০৪ ) আমরা কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করবো এবং অব্যশই তার হক আদায় করবো কেননা আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা আরো বলেন ঃ
যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তাদের মাঝে এমন কিছু লোকও আছে যারা এ (কুরআন) – এর তিলাওয়াতের হক আদায় করে পড়ে, তারা তার উপর ঈমানও আনে, যারা (একে) অস্বীকার করে তারাই হচ্ছে আসল ক্ষতিগ্রস্ত লোক। ( সূরা আল বাকারা, ০২ : ১২১) আল কুরআন তিলাওয়াতে মন জুড়ায়। মনে প্রশান্তি আসে। হাদিসে এসেছে ঃ
আর কোনো একটি দল আল্লাহর কোনো ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করলে এবং নিজেদের মধ্যে তার আলোচনা করলে অবশ্যম্ভীরূপে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয় এবং আল্লাহর রহমত তাদেরকে ঘিরে ফেলে। আর ফেরেশতাগণ তাদের উপর রহমতের ছায়া বিস্তার করেন এবং আল্লাহ তাঁর নিকটস্থদের মধ্যে তাদের আলোচনা করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৯৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৯২৭৪) আল কুরআন বিশ্ব মানবতার একমাত্র মুক্তির সনদ। বিশ্ব নবি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কর্তৃক প্রেরিত এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন আমাদের জন্য সর্বোত্তম নেয়ামত। এই কুরআন আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ কর যেমন ফরজ তেমনি কুরআনকে সহিহ শুদ্ধভাবে পড়া প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে (নিজে) কুরআন শিখে এবং (অন্যকে) শিক্ষা দেয়”। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৫০২৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৫৪)। তাজওয়িদের (তাজবিদের) জ্ঞান ছাড়া সহিহ তেলাওয়াত করা সম্ভব নয়। বরং তাজবিদের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে বিজ্ঞ মুয়াল্লিম, মুয়াল্লিমাহ, ক্বারী সাহেবদের কাছ থেকে বিশুদ্ধ তেলাওয়াত এবং সুন্দর কৌশল শিখে নিতে হবে। তা না হলে সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কুরআনুল কারিমে বলেন -যারা আল্লাহ তায়ালার কিতাব পাঠ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে যারা (আমারই জন্য) গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে দান করে, (মূলত) তারা এমন এক ব্যবসার আশায় আছে যা কখনো ধ্বংস হবে না। (এর উদ্দেশ্য হচ্ছে,) তিনি যেন তাদের কাজের পুরোপুরি বিনিময় দিতে পারেন, নিজ অনুগ্রহে তিনি তাদের (পাওনা) আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন; অব্যশই তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (সুরা ফাতের, ৩৫ : ২৯-৩০) ইলমে তাজওয়িদের জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। কুরআনের প্রত্যেক আয়াতের উপর আমল করা প্রত্যেক মুসলিম (বালেগ) নরÑনারীর উপর ফরজে আইন। কুরআন মাজিদ সহিহ শুদ্ধভাবে পড়া অতীব জরুরি ও প্রয়োজন। কেননা কুরআন ও সুন্নাহর মতে সালাত বা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহের মধ্যে একটি কারণ হলো নামাজে অশুদ্ধ তেলাওয়াত করা। এর কারণ আল-হামদুলিল্লাহ (‘হা’ কে হলকের মধ্যখান থেকে) পড়লে অর্থ হবে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আর আল-হামদুলিল্লাহ (‘হা’ কে হলকের শুরু থেকে ) পড়লে অর্থ হবে সমস্ত ছেঁড়া কাপড় আল্লাহর জন্য। (নাউজুবিল্লাহ)। অনেক পাঠকের কাছে মনে হয় এখনো স্পষ্ট হয়নি আরেকটি উদাহরণের মাধ্যমে আশা করি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। উচ্চারণের পার্থক্যের কারণে অর্থের এতো ব্যবধান হয়ে যায়। ফলে কুরআনুল কারিম সহিহ শুদ্ধভাবে শিখে নেওয়া এবং এর প্রতি আমল করা মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়াল আরো বলেন ঃ (ইবরাহিম ও ইসমাইল আঃ দোআ করলেন) হে আমাদের রব, তাদের (বংশের) মধ্যে তাদের নিজেদের মাঝ থেকে তুমি (এমন) একজন রসুল পাঠাও, যে তাদের কাছে তোমার আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করবে, তাদেরকে তোমার কিতাবের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দেবে, উপরন্তু (তা দিয়ে) সে তাদের পবিত্র করে দেবে ( হে আল্লাহ, তুমি আমাদের দোআ কবুল করো); অব্যশই তুমি মহাপরক্রমশালী, পরম কুশলী। (সুরা আল বাকারা, ০২ : ১২৯) আপনার পড়া শুদ্ধ নয় বলে আপনি কুরআন তেলাওয়াত করা ছেড়ে দিবেন? না অব্যশই আপনি তা শেখার চেষ্ঠা করবেন এবং কুরআন তেলাওয়াত চালিয়ে যাবেন।হাদিসে এসেছেঃ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তিলাওয়াতে পারদর্শী হয়, সে ব্যাক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা পড়তে পড়তে ঠেকে যায় বা আটকে যায় আর তা পড়া কষ্টকর হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৪৯৩৭, সহিহ মুসলিম ৭৯৮) আমাদের কে অব্যশই কুরআন সহিহ শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে হবে, তার অর্থ বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং মানতে হবে। কেননা হাদিসে এসেছেঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কুরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ নিশ্চিতভাবে কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার তর্ক মেনে নেয়া হবে। যে ব্যক্তি উহাকে সম্মুখে রেখেছে উহা তাকে জান্নাতে টেনে নিয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি উহাকে পিছনে রেখেছে উহা তাকে ধাক্কা দিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। (তবারানি, হাদিস নং ৮৬৫) হাদিসে আরো এসেছে: আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমাদ্বান ও কুরআন (কেয়ামতের দিন) আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রমাদ্বান বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি তাকে (রমাদ্বানের) দিনে পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিয়েছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের বেলায় নিদ্রা হতে বাধা দিয়েছি। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৬৫৮৯; তাবরানি, মাজমায়ু যাওইয়াদ ৩/৪১৯) আমাদেরকে বেশী বেশী সহিহ করে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। যতো কুরআন তেলাওয়াত করবো ততো বেশী সওয়াব অর্জন করবো। কুরআনের প্রতিটি হরফে হরফে নেকীতে ভরপুর। হাদিসে এসেছেঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন – যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পড়বে সে দশটি নেকী পাবে। আর প্রত্যেকটি নেকী দশগুণের সমান। আমি এ কথা বলিনি যে আলিফ লাাম মীম একটি হরফ বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মিম একটি হরফ। (তিরমিযি, হাদিস নং ২৯১০) আমরা সুন্দর করে উত্তম রূপে অর্থাৎ কুরআনের প্রতিটি হরফের মাখরাজ, সিফাত আদায়ের সাথে লম্বা, বারিক, গুন্নাহ ইত্যাদি ঠিক রেখে সুললিত কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করবো। হাদিসে এসেছেঃ
আল-বারাআ ইবনু আযিব (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সুললিত কণ্ঠে কুরআনকে সুসজ্জিত করে পাঠ করো। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৬৮ ; বুখারি ‘খালকু আফ‘আলুল ‘ইবাদ’ হাদিস নং ১৯৫ আ‘মাশ হতে, ইবনু মাজাহ, অধ্যায় : সালাত ক্বায়িম, অনুচ্ছেদ: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পাঠ করা, হাদিস নং ১৩৪২, নাসায়ি অধ্যায় : ইফতিতাহ, অনুচ্ছেদ: কুরআন পাঠে আওয়াজ সুন্দর করা, হাদিস নং ১০১৪, দারিমি, অধ্যায় : ফাযায়িলি কুরআন, হাদিস নং ৩৫০০, ত্বালহা হতে, আহমাদ ৪/২৩৮।) হাদিসে আরো এসেছে :
সাঈদ ইবনু আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি মধুর সুরে কুরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৮৬৯ ; আহমাদ হাদিস নং ১/১৭২; দারিমি, হাদিস নং ১৪৯০, হুমাইদী ‘মুসনাদ’ হাদিস নং ইবনু আবু মুলাইকা হতে) পৃথিবী যখন কু-শিক্ষা ও বর্বরতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, তাওহিদের প্রদীপ ছিলো নিভু নিভু। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ বলতে কিছুই ছিলো না, হিংসা-বিদ্বেষ নির্যাতন হত্যা ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো দুনিয়াতে, ঠিক তখনই ভ্রষ্ঠতার আধার ছেড়েঁ হেরা গুহা থেকে কুরআন মাজিদের আলো বিচ্ছুরিত হয়। মহান রব্বুল আলামিন তার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাজিল করেছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারীম। সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই কুরআন আমাদের রহমত স্বরূপ দান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা হযরত জিবরাঈল আলাইহি সালাম এর মাধ্যমে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে প্রেরণ করেন। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেলাওয়াত করে তাঁর সাহাবাদেরকে শুনিয়েছেন। এই কুরআন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা চান তিনি যে ভাবে কুরআনকে সহিহ শুদ্ধভাবে নাজিল করেছেন, সে ভাবে তেলাওয়াত হোক। দুনিয়া পাবার জন্য ত্রিশ -চল্লিশ বছর বয়সের একজন মানুষও পার্থিব শিক্ষার চেষ্টা ও চর্চা করার আগ্রহ কম থাকে না। কিন্তু আখেরাতের অর্জনের বেলায় বয়সের কারণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিখার ইচ্ছা আর থাকে না। এভাবেই হঠাৎ দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয়। কতো বড় দুর্ভাগ্য! আফসোস! হাদিসে এসেছে:
হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন – যে ব্যক্তি কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করিবে ও মুখস্থ করবে এবং হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম জানবে। কুরআন মাজিদের বিরোধী কোন কাজ না করে। তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন। আর তার আত্মীয়দের মধ্য হতে দশজন লোকের জন্য তার সুপারিশ গ্রহণ করবেন। যাদের জন্য দোযখ নির্ধারিত ছিলো। (তিরমিযী হা/২৯০৫; আহমাদ ১২৭১; মিশকাত ২১৪১, তা’লীকুল রাগীব ২/২১০)
পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে নিজেদেরকে আল-কুরআন শিখার পাশাপাশি দ্বীনি ইলম শিক্ষার ফরজ আদায় করতে হবে এবং নিজ সন্তানদের কে দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিলে মৃত্যুার পর কবর থেকে তার পুরস্কার লাভ করতে পারবেন। হাদিসে এসেছে মহান আল্লাহ তায়ালা যার মঙ্গল বা কল্যাণ কামনা করেন তিনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। (বুখারি, হাদিস নং: ৭১) আপনাদের কাছে আমার কিছু প্রশ্নঃ আপনি কী সহিহ করে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন? আপনি কী সহিহ তেলাওয়াতের মাধ্যমে সালাত বা নামাজ আদায় করেন? আপনি কী সালাত বা নামাজ আদায় করা ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন? সহিহ করে কুরআন তেলাওয়াত করা কী? আপনি কী কুরআন কে কঠিন মনে করেন? আল্লাহর কুরআনের ঘোষণাকে সন্দেহ মনে করেন? অথচ আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন কারিমে বলেছেন –
অব্যশই আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণ করার জন্য সহজ করে দিয়েছি। অতএব উপদেশ গ্রহণ করার জন্য কেউ আছো কী? (সূরা আল ক্বমার ৫৪: ১৭, ২২, ৩২, ৪০) যে মানুষগুলো কুরআনের প্রতি ইমান বা বিশ্বাস রাখেন, তারা জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে কুরআন অধ্যায়ন করতে হবে, বুঝতে হবে, বুঝাতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। ইলম দু প্রকার। যথা দুনিয়াবী ইলম ও দ্বীনি ইলম। দুনিয়াবী ইলম শিক্ষা না করলে ইহকালীন উন্নতি সম্ভব নয়। আর দ্বীনি ইলম না করলে পরকালীন উন্নতি অর্জন হবে না। ইহকাল অস্থায়ী আর পরকাল চিরস্থায়ী। মানুষ ইহকাল লাভের জন্য দুনিয়াবী ইলম লাভ করার নিমিত্তে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে রাজী কিন্তু চিরস্থায়ী পরকালের মুক্তি লাভের জন্য দ্বীনি ইলম শিক্ষা করতে টাকা খরচ করতে রাজী হয় না। সমাজে এ অবস্থার কারণ দ্বীনি জ্ঞানে অজ্ঞতা এবং পরকালের দৃঢ় বিশ্বাস না থাকা। অথচ দ্বীনি ইলম শিক্ষা করার ব্যাপারে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন: (অসমাপ্ত)