গতকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিপিবি-বাসদ মনোনীত মই মার্কার মেয়র প্রার্থী কমরেড মো. আবু জাফর ও তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন এবং সদস্য সচিব ও নির্বাচনি এজেন্ট জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণকালে দেখতে পান যে-
প্রিসাইডিং অফিসার, এসিস্ট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারের বইগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরে ভোট বাক্স ভর্তি করছে।
ভোট বাক্স সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের মতো করে ভোট বাক্সে সিল মারা ব্যালট পেপার ভর্তি করে তা ঘন্টাখানিক পর প্রকাশ্যে প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট জমা প্রদান করছে।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদেরকে পোলিং অফিসার কর্র্তৃক ব্যালট পেপার নেই মর্মে জানানোয় ভোটাররা ভোট না দিতে পেরে ফিরে আসেন এবং কোনো কোনো কেন্দ্রে শুধুমাত্র মেয়র পদের ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে মর্মে জানানোয় ভোটাররা শুধুমাত্র কাউন্সিলর প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ভোট কেন্দ্রের বাইরে সাধারণ ভোটারদের লাঠিপেটা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান এবং সেই সুযোগে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ করিয়ে নির্বিঘেœ জাল ভোট প্রদান উৎসব সম্পন্ন করা হয়।
সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ ও জামাত ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থকদের হটিয়ে দিয়ে ইচ্ছামতো জাল ভোট প্রদান করা হচ্ছিল।
বর্ণিত প্রকারসহ নানা পন্থায় ভোট কারচুপির প্রেক্ষিতে গতকাল বেলা প্রায় ১২টায় জেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং অফিসারের নিকট এ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়। কিন্তু রির্টানিং অফিসার তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আজকের এ ভোট ডাকাতি, প্রহসন ও যুদ্ধাপরাধী দল জামাতের সাথে আতাতের নির্বাচন বাতিল ঘোষণাক্রমে পুননির্বাচন দাবি করাসহ অত্র নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদত্যাগের জন্য মই মার্কার মেয়র প্রার্থী কমরেড মো. আবু জাফর এবং তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন ও সদস্য সচিব জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন এক বিবৃতিতে জোর দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি