কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে সারাদেশে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন পার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধে রাজধানীর রাজপথ অনেকটাই ফাঁকা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে অবস্থান করায় রাজধানীতে ২৪৯ জনকে আটক ও ৭৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। রাজধানীর মতো সারাদেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারী ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, পণ্যবাহী বাহন ছাড়া কিছু রিকশা-রিকশাভ্যান চলছে বিভিন্ন রাস্তায়। কিছু কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেলেও সংখ্যায় তা একেবারেই কম। সিএনজি একেবারেই ছিল না। পুরো রাজধানীতে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট ছাড়াও কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেয়া হয়নি। রাজধানীতে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা মানুষকে সতর্ক করে ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
লকডাউন দেখতে গিয়ে বা জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে আসা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আটক করা হয়েছে ২৪৯ জনকে। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধের মধ্যে যেভাবে লোকজন রাস্তায় নেমেছিল এবার সেটি ঘটেনি। কয়েকদিন ধরেই জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছিল বিধিনিষেধের মধ্যে যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোলেই গ্রেফতার করা হবে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর এ ধরনের হুঁশিয়ারির কারণে আগের তুলনায় রাস্তায় মানুষ কম ছিল। এছাড়া মানুষের মধ্যে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধিও কাজ করেছে।
কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তৎপর ছিল। নৌপথে জনসাধারণের চলাচল ও গমনাগমন বাস্তবায়ন এবং জরুরী সেবা ও সরবরাহ যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখতে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, লঞ্চ ঘাট, ফেরিঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ঢাকা জোনের আওতাধীন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অন্তর্গত গজারিয়া, বক্তাবলী ফেরিঘাট, হাইমচর, মাওয়া দিয়ে নৌপথে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধের জন্য চেক পয়েন্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম জোনের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
গত জুন মাসের শুরুতে করোনায় নতুন রোগী শনাক্তের হার কম থাকলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে। এখন পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চারদিনে টানা ১শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও সর্বোচ্চ সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে।
সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতেও কঠোর লকডাউনের আগে স্রোতের মতো ঢাকা ছেড়েছে মানুষ। গত মধ্য মার্চে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর এপ্রিলে বিধিনিষেধের ঘোষণা আসার পরও এমন ঘটেছিল। গত সোমবার থেকে সীমিত বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও গত কয়েকদিনে যে যেভাবে পেরেছেন মরিয়া হয়ে রাজধানী ছেড়েছেন।
বুধবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত এই কঠোর বিধিনিষেধ চলবে। পরিস্থিতি বুঝে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও সাতদিন বাড়ানো হতে পারে বলেও সরকার থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ না মেনে বাইরে অবস্থান করায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ২৪৯ জনকে আটক ও ৭৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডিএমপির মিডিয়া ও পিআর এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর ৮ থানায় মোট ২৪৯ জনকে আটক ও ৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৮ জনকে সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ৫৬ ব্যক্তি, ১০টি দোকানকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
ঢাকার রাস্তায় মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট : দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন সকালে মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, বিজয়নগর, মিরপুর, আজিমপুর, বাড্ডা, রামপুরা, শাহবাগ, ধানমন্ডি, হাতিরপুল ঘুরে মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট দেখা গেছে।
গাবতলীর মূল সড়কে তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। যে দু’একটির দেখা মিলেছে সেগুলো পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্মীদের গাড়ি। এছাড়া কয়েকটি কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে। সেখানে দায়িত্বে থাকা সার্জেন্টরা বলছেন, এই পথ ধরে পণ্যবাহী গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যাচ্ছে বেশি। এছাড়া সাভার-আশুলিয়াগামী পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কিছু গাড়ি ঢাকা থেকে বের হচ্ছে।
মগবাজার মোড়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা একটি রিক্সাকে থামিয়ে যাত্রীকে বাড়ি থেকে কেন বের হয়েছে সেটি জিজ্ঞেস করছেন। তিনি বলছেন, নিজেকেও বিপদে ফেলছেন, আবার রাস্তার মানুষকেও বিপদে ফেলছেন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আপনাকে মানতেই হবে। ঘর থেকে বের হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখালে মামলা, জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে। কোনো ছাড় আমরা দিচ্ছি না, কড়াকড়ি করছি।
খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। মোটরসাইকেলে দুইজন যাত্রী থাকলে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিকমতো কারণ দর্শাতে না পারলে সতর্ক করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারাদিনে প্রায় একশ’র বেশি মানুষকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানো হয়েছে।
রাস্তায় কীভাবে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান বলেন, আমরা প্রায় প্রত্যেকটি গাড়ি চেক করছি। এছাড়া জরুরি সেবার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শনাক্তে আইডি কার্ড দেখা হচ্ছে। সকাল থেকে আমরা মাঠে নেমেছি।
কঠোর বিধিনিষেধে সিএনজিসহ সব ধরনের যান্ত্রীক যানবাহন চলাচলে নিষেধ থাকলেও রিকশা চলাচলে কোন বাধা নেই। সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে রিক্সা চালকরা বসে থাকলেও যাত্রী পাচ্ছেন না। তবে জরুরী প্রয়োজনে রাস্তায় মানুষেরা বলছেন, গন্তব্যে যেতে রিক্সা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। তাই রিক্সাওয়ালা ভাড়া চাইছেন দ্বিগুণের বেশি। তবে রিক্সাচালকরা বলছেন উল্টো কথা। তারা বলছেন, বিধিনিষেধে মানুষ রাস্তায় নেই বললেই চলে। সকাল থেকে বসে থাকলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
অফিস আদালত বন্ধ থাকলেও শিল্পকারখানাগুলো ‘নিজস্ব ব্যবস্থায়’ চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সকালে পোশাক শ্রমিকদের অনেককে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যতে দেখা যায়। তাদেরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকাতে সুনসান নীরবতা দেখা গেছে। পুরো এলাকা ছিল জন মানবশূন্য। সকাল থেকেই মতিঝিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেখা গেছে।
পাড়া-মহল্লাতে কিছু দোকানপাটও খোলা থাকতে দেখা গেছে। তবে ক্রেতা কম ছিল। বিধিনিষেধের আগেই জরুরী প্রয়োজনীয় কিনে রাখায় এসব দোকানে ভিড় ছিল না। এছাড়া রাজধানীতে খোলা ওষুধের দোকানেও ক্রেতা কম ছিল।
বিধিনিষেধের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সড়কগুলো ছিল অনেকটাই যানবাহন ও জনমানবশূন্য। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর ছেড়ে বের হয়নি। খুবই সীমিত পরিসরে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইক বাদ দিলে সড়কে শুধুমাত্র রিক্সা চলাচল করেছে। নগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। ফলে শহরে যানবাহন প্রবেশ ও বের হতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল বেশ তৎপর।
গত তিন দফায় ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও বৃহস্পতিবারে রাজশাহীর দৃশ্য একেবারেই ভিন্ন ছিল। এদিন সকাল থেকেই রাজশাহীতে শুরু হয়েছিল বৃষ্টিপাত। এ কারণে মানুষ এমনিতেই ঘর থেকে বের হয়নি। তাই মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকেও বেগ পেতে হয়নি। সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে এমনিতেই মানুষ অলস সময় পার করছেন ঘরে ঘরে। ফলে কোলাহলের শহরে নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা। বৃষ্টি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাজকে সহজ করে দিয়েছে।
কঠোরভাবে বিধিনিষেধে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী টাঙ্গাইলে মাঠে অবস্থান করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন ইসতিয়াকের নেতৃত্বে ১ প্লাটুন সেনাবাহিনী শহর পরিদর্শন করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা তৎপর ছিল বিধিনিষেধ কার্যকরে।
৫ এপ্রিলে জারি করা বিধিনিষেধে খাবারের দোকান বন্ধ রাখা হলেও এবার তা চালু করা হয়েছে। খাবারের দোকানগুলোতেও মানুষজনকে ভিড় করতে দেয়া হচ্ছে না। কাওরানবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিছুক্ষণ পর পর বাজার ঘুরে দেখছেন সবাই মাস্ক পরছে কিনা, কোনো দোকানে জটলা আছে কিনা। স্বাস্থ্যবিধি কোথাও উপেক্ষিত হচ্ছে কিনা? সেখানে দেখা গেল তরকারি-শাক-সবজি নিয়ে রাস্তার পাশে বসে আছেন কয়েকজন বিক্রেতা। সবজি বিক্রেতারা বলেন, বিধিনিষেধের কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম।
যা বন্ধ রয়েছে : মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বলবত থাকবে। এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। সব সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন এবং অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিংমল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট এবং পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা যাবে না। অতি জরুরী প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার) ছাড়া কেউ কোনোভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যা খোলা : আইনশৃঙ্খলা ও জরুরী পরিষেবা (কৃষিপণ্য-উপকরণ-খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনা টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুত-পানি-গ্যাস-জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারী নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি, ফার্মাসিউটিক্যালসহ জরুরী পণ্য-সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে)। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। বন্দরগুলো (বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল) ও সংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। কাঁচাবাজার-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে। বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট প্রদর্শন করে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত সোমবার থেকেই সারাদেশে গণপরিবহন, শপিংমল, মার্কেটসহ বেশ কিছু কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।