স্টাফ রিপোর্টার :
টানা বৃষ্টি আর ঢলে গত দুদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে সিলেটের বিভিন্ন নদনদীর পানি। বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হয়েছিল সারী নদীর পানি।
বৃষ্টি আর ঢলে প্লাবিত হয়েছেল গোয়ানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট এলাকার বেশ কিছু গ্রাম। তবে গতকাল বুধবার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাশাপাশি সিলেট সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬টা মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২০.৬ মিলিমিটার, এবং মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ৭.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সাধারণত জুন মাসের স্বাভাবিকের চেয়ে ২৩% কম বৃষ্টিপাত হয়েছে এবার। বছরের হিসেবেও বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা সিলেটে। কিন্তু জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১ হাজার ২৬৪ মিলিমিটার। তুললনামূলক বৃষ্টিপাতে পরিমান কম।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের গোয়ানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট এলাকায় বৃষ্টিপাত একটু বেশি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির পাশপাশি সিলেটের নদনদীগুলো পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে। উজানে বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে পাহাড়ি ঢলে নদ নদীর পানি বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বন্যার শঙ্কা না থাকলেও কম সময়ে বেশি বৃষ্টি হলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সিলেটের সব নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছিল সেসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এখন আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।