কাজিরবাজার ডেস্ক :
কুয়েত থেকে আরও দুটি স্পেশাল ফ্লাইটে চার শতাধিক বাংলাদেশী ঢাকায় ফিরেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অপর একটি ফ্লাইটে মালদ্বীপ থেকেও ফিরেছেন ৩৯৬ বাংলাদেশী। এছাড়া আজ রবিবার ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছবে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া ২৪২ বাংলাদেশী। এদিকে শনিবার বিমান বাহিনীর একটি ফ্লাইটে ফিরে গেছেন ১১ ভারতীয় নাগরিক।
বেবিচক জানিয়েছে, কুয়েত থেকে জাজিরা ও কুয়েত এয়ার লাইন্সের দুটো স্পেশাল ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ফ্লাইট দুটো অবতরণ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এনিয়ে সর্বশেষ মোট ৭ শতাধিক বাংলাদেশী কুয়েত থেকে ফিরেছেন। তারা কুয়েতের একটি বন্দী শিবিরে আটক ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ উদ্যোগে তাদের দুটো এয়ারের ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেখানে আরও তিন সহ¯্রাধিক বাংলাদেশী দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
একই দিন সন্ধ্যায় মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে ফিরিয়ে আনা হয় ৩৯৬ বাংলাদেশীকে। তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন অপরাধের দরুণ মালদ্বীপের কারাগারে আটক ছিলেন। বিশ্বব্যাপী করোনা তা-ব ছড়িয়ে পড়ায় মালদ্বীপ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তিদানের। বিমানের একটি ৭৭৭ উড়োজাহাজে তারা সরাসরি ঢাকায় আসেন। ওই ফ্লাইটটি শুক্রবার ঢাকা থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পর সেখান থেকে কিছু যাত্রী নিয়ে মালদ্বীপ যায়। এরপর মালে থেকে ৩৯৬ জনকে নিয়ে ঢাকায় ফিরে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আটকেপড়া ২৪২ বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ভাড়া করা বিমানটি আজ (রবিবার) ভোরে ঢাকায় অবতরণের সিডিউল রয়েছে। ওই ফ্লাইটের কারিগরি সহায়তাপ্রদানকারী বাংলাদেশের শীর্ষ ট্রাভেল সংস্থা গ্যালাক্সি এভিয়েশনের এমডি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ দৈনিক জানান, গত ৪ মে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনার। শুধু সেই অনুমোদন পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশীদের খুঁজে বের করে ঢাকায় নিয়ে আসাটা ছিল বেশ কঠিন কাজ। মোট কথা কাতার এয়ার শুধু ফ্লাইটটা অপারেট করেছে। বাকি সব দায়িত্বটুকুই পালন করেছে গ্যালাক্সি এভিয়েশন। আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ জানান, কাতার এয়ারের স্পেশাল ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ৩৫০-৯০০ এয়ারবাস ওয়াশিংটন সময় রাত ১১:০৪টায় যাত্রা শুরু করে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ফ্লাইটটি দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। ১ ঘণ্টা টেকনিক্যাল যাত্রা বিরতির পর বিমানটি দোহা স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। যাত্রা বিরতির সময় সকল যাত্রী বিমানের অভ্যন্তরে স্ব-স্ব আসনে অবস্থান করেন। আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন। তিনি জানান, যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী, ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসায় আগত বাংলাদেশের নাগরিক এবং সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশন ও কালচারাল কর্মসূচীর অধীনে বাংলাদেশ থেকে আগত ৪৯ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ রয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রী কোভিড-১৯ উপসর্গবিহীন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদর্শনপূর্বক ফ্লাইটে আরোহন করেন। ঢাকায় অবতরণের পর প্রত্যেক যাত্রী হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেবেন।