নিজাম নুর জামালগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন জুড়ে হালির হাওরে প্রবাহমান বৌলাই নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন শতাধিত বালি ও পাথরবাহী বল গেট আটকা পরে থাকে।
সম্প্রতি জাতীয় নিবার্চনকে কেন্দ্র করে নৌ পথে কার্গো ও বলগেট এর শ্রমিক শূন্যতা ও নৌ পুলিশের আইন শৃঙ্খলা অভাব দেখা দিলে মালবাহি নৌকা জটলা বাঁধতে শুরু করে।
গতকাল বেহেলী বাজার থেকে জল ডুব হয়ে পুটিয়া গ্রাম সংলগ্ন বৌলাই নদীতে ১ কিলোমিটার জুড়ে ৩ শতাধিক বলগেট নদীতে অটকা পরে। এই নৌকা গুলি আটকে থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন সুনামগঞ্জ শাখার সভাপতি মো: তুহিন আলম বলেন, অনেক দিন যাবৎ নৌকা আটক আছে। বৌলাই নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা তৈরি হয়েছে, এলোপাতারি নৌকা চলাচলের কারণে এই অবস্থা হয়েছে, নদী খনন প্রয়োজন।
বালি উত্তোলনের স্থানে রয়েলিটির মালিক জিয়াউল হক সাহেব ড্রেজার নিয়ে নদী খনন করে আটকে পরা নৌকা উদ্ধার করে দিবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কয়েকজন বলগেটের সুকানি ও শ্রমিক বলেন, এই অসুবিধার মধ্যে বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের নাম ধরে চাঁদাবাজী করার চেষ্টা করেছে, লালপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আনিসুর রহমান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টহল দিচ্ছেন। বলগেট “পরশী নৌরিন” নামক নৌকার সুকানি বাজিতপুরের চান মিয়া বলেন, ১২ দিন যাবৎ বসে আছি, নৌকা চলে না, যদি সিরিয়েল ভাবে একটা একটা করে নৌকা চলত তবে এই সমস্যা হইত না।
৩ শতাধিক নৌকার দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক বসে বসে অর্থ ব্যয় করছে। স্থানীয় কিছু শ্রমিক বালি বাহি নৌকা আনলোড করতে অধিক অর্থ উপার্জনে সুযোগে সদ ব্যবহার করছে। বেহেলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার বলেন, এখানে কোনো চাঁদা বাজি হয়নি, আমি থানার পুলিশ সহ চেষ্টা করেছি শৃঙ্খলা ভাবে আটক নৌকা ছুটিয়ে দিতে, এখন দেখছি নদীর খনন ছাড়া কোনো পথ নেই, বিষয়টি রয়েলেটির মালিক, বলগেট মালিক ও শ্রমিকদের সিদ্ধান্তই ভালো। ১০ জানুয়ারি সান বাড়ির নৌ পুলিশ, লালপুরের নৌ পুলিশ, ও টুকেরঘাট নৌ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য নৌকা আটক এলাকায় জরুরী বৈঠক বসার কথা রয়েছে।