এইচএসসির ফরম পূরণের সময় পরিবর্তন

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে পরীক্ষা হবে কি না এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৯ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফরম পূরণের কাজ। প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই সম্পন্ন করবে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরম পূরণের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইনে আবেদন করার পর শিক্ষার্থীদের তথ্য সম্বলিত সম্ভাব্য তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে আগামী ২৯ জুন। এ সম্ভাব্য তালিকা থেকে আগামী ২৯ জুন থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফরম পূরণের সময়সীমা দেয়া হয় ২১ জুন থেকে ২৭ জুন। একদিন পরই ফরম পূরণের সময়সীমায় পরিবর্তন এনেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরম পূরণের সময় পেছানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার আগে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফি নেয়া যাবে না। বিজ্ঞান শাখার জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। যারা এক বা একাধিক বিষয়ে মান উন্নয়নের জন্য পরীক্ষা দেবে তাদেরও নির্বাচনী কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। কোনো শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন বহির্ভূত কোনো বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে এ বিষয়ের পরীক্ষা কোনরূপ যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।
এর আগে করোনার কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ওপর এইচএসসির ফল দেয়া হয়। এ বছর ৮৪ দিনের পাঠ পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারছে না সরকার। ফলে চলতি বছরের বাকি সময়ে সরাসরি ক্লাসরুমে ৮৪ দিন পড়িয়ে পরীক্ষা নেয়া কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।