স্টাফ রিপোর্টার :
কফিনের ঢাকনা খুলার পর ভালোবাসার ফুলে ঘেরা মুখটি দেখেই সবার কান্নার রোল পড়লো। কান্নায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মরচুয়ারির বারান্দার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠলো। আত্মীয় স্বজনরা একে একে দেখলেন আশির দশকের মাঠ কাঁপানো সাবেক হকি তারকা জুম্মন লুসাইয়ের মরদেহ।
গতকাল সোমবার রাত ৭ টার দিকে হকি তারকা লুসাইয়ের লাশ নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ করে আলিফ অ্যাম্বুলেন্স। পেছনের মাইক্রোবাসে এসেছেন তার বোন, ভাই ও ভাগ্নিরা। সন্ধ্যা থেকেই প্রিয় তারকার মুখ দেখার জন্য সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা অপেক্ষারত। অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রথমে লুসাইকে জানানো পুষ্পস্তবকগুলো নামানো হল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হল হকি তারকার লাশ। ওসমানী হাসপাতাল মর্গের মরচুয়ারি ঘরের বারান্দায় নিয়ে স্বজনদের লাশ দেখানো হয়। পরে লাশকে সামনে রেখে বাইবেল পাঠ ও ধর্মীয় আচার সম্পন্ন করা হয়। এরপর তাঁর লাশ মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জানান, জুম্মন লুসাইয়ের স্ত্রী, তিন ছেলে ভারতের মিজুরামে আছেন। আগামী বৃহস্পতিবারে তারা আসার পর লাশটি সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর লাশ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় লুসাইয়ের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
গতকাল সোমবার জুম্মন লুসাইয়ের লাশের সাথে ছিলেন তাঁর বোন মারিয়াম মাম্মি, ভাই জুবেল, ভাগ্নিরা। এছাড়া হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার হকি সম্পাদক সুনু মিয়া, জেলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মাহি আহমদ সেলিম, ফুটবল রেফারি হাসান আলী বাদল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন সাবেক জাতীয় হকি তারকা জুম্মন লুসাই। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে রাখা হয়। কিন্তু গত রবিবার হকি অঙ্গনের এই সফল নায়ক চলে গেলেন না ফেরার দেশে।