জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কৌশলী অভিযানে মারামারি মামলার ৩৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার রমাপতিপুর গ্রামের কাওছার মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, সুহেল মিয়া, আতাউর মিয়া, মুজিবুর রহমান, মাসুক মিয়া, সুন্দর মিয়া, বিলাল মিয়া, সিরজন মিয়া, নেক্কার উ৬দ্দিন, ফয়সল মিয়া, সৈয়দ মিয়া, সজ্জাদ মিয়া, আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর মিয়া, জাকির মিয়া, রাইস মিয়া, দুদু মিয়া, রাসেল মিয়া, শরীফ উদ্দিন, হেলাল মিয়া, রজ্জাক মিয়া, গৌছ মিয়া, আলমাছ মিয়া, আছলম উল্লাহ, খালেদ মিয়া, ফখরুল আলম, ফয়জুল হক, আলফু মিয়া, ফিরোজ মিয়া, মিজান মিয়া, সাকির মিয়া, বাটুল মিয়া ওরফে ফজরুল ইসলাম, ছালিম উদ্দিন, আবদুর রউফ ও জাকারিয়া।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে রাস্তায় মাটি কাটা নিয়ে রমাপতিপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কাজল মিয়া ও আকমল হোসেনের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অসংখ্য মানুষ আহত হন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে মামলা ও পাল্টা মামলা।
এর মধ্যে ২৪ মে সোমবার সুনামগঞ্জ আদালত থেকে এক মামলার হাজিরা দিয়ে যাত্রীবাহী মিনিবাস যোগে বাড়ি ফিরছিলেন আকমল পক্ষের লোকজন। বিকেলে জগন্নাথপুর আসার পর থানা পুলিশকে দেখে বাসটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয় বটেরতল এলাকায় জগন্নাথপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব ও এএসআই সত্য লাইডুর নেতৃত্বে পুলিশ দল কৌশলী অভিযান চালিয়ে মিনিবাসের ভেতরে থাকা ৩৬ আসামীকে গ্রেফতার করেন। পরে জগন্নাথপুর থানার এসআই রাজিব রহমান ও এসআই জিয়া উদ্দিন সহ সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সহযোগিতা করেন। জগন্নাথপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব জানান, সাবেক ইউপি সদস্য কাজল মিয়া পক্ষের দায়েরকৃত আরেকটি মারামারি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, রমাপতিপুর গ্রামে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাই এক সাথে ৩৬ আসামী গ্রেফতার হওয়ায় আশা করছি এলাকার পরিস্থিতি শান্ত থাকবে। এছাড়া অন্যান্য মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।