মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে সরকারি ভাবে মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত মিলারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার ২২টি অটোমিল থেকে সরকারি ভাবে ১৫৮১ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশ মিলকে ২১ থেকে ৬১ টন বরাদ্দ দেয়া হলেও শুধু হাজী তসখ উল্লাহ অটো ড্রায়ার আতপ রাইছ মিলকে দেয়া হয় ৫১৩ টন আতপ ও ৪১২ টন সিদ্ধ চাল। গত অর্থ বছরে চাল দিতে ব্যর্থ হওয়া সেই মিলকে এবার অধিক বরাদ্দ দেয়ায় অন্যান্য মিল মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত অর্থ বছরে যেসব মিল মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরকারকে চাল দিলেও এবার তারা প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকটি মিল এবার বরাদ্দই পায়নি।
এ ব্যাপারে গত রোববার ১৮ জন মিল মালিক স্বাক্ষরিত অনিয়মের অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দায়ের করেছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, এবার জগন্নাথপুরে ১৫৮১ টন আতপ চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও সঠিক ভাবে বন্টন করা হচ্ছে না। এতে আমরা মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই সমবন্টনের আবেদন করছি।
যার অনুলিপি সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী, সিলেট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সুনামগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবরে প্রেরণ করা হয় বলে প্রতিবাদী মিল মালিকরা জানান।
এদিকে-সরজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ সীমান্তবর্তী ইনাতগঞ্জে অবস্থিত হাজী তসখ উল্লা অটো ড্রায়ার রাইছ মিল খোলা থাকলেও মেশিন বন্ধ রয়েছে। মিলের ভেতরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ ধান দেখা যায়। এ সময় মিলের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, এক সময় মিলটি নবীগঞ্জের আওতাধীন ছিল। গত কয়েক বছর ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৪০ টন সিদ্ধ চাল সরকারকে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে বাকি বরাদ্দকৃত চাল দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কোন স্টক নেই। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা চলছে। এসব ধান জমিয়ে মিলিং করে সরকারকে যতকুটু সম্ভব দেয়া হবে।
এ বিষয়ে রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, তসখ উল্লা মিল এ পর্যন্ত প্রায় ৫৩ টন সিদ্ধ চাল দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরাদ্দ বেশি পাওয়ার বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, মিলারদের তালিকা আমরা পাঠাই। বরাদ্দ দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। তসখ উল্লাহ মিলকে মন্ত্রণালয় অধিক বরাদ্দ দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।