মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হলে ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত হয় -চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

4
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্য রাখছেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদ।

নিরপেক্ষভাবে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে, ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত হয় বলে জানিয়েছেন সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদ।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সের সভাপতির বক্তব্যে কাউছার আহমেদ আরও বলেন, মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়া, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এক ও অভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করেন। সবাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত ভালো না হলে, রায় ঠিকমতো দেয়া যায় না। তাই ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করতে হলে তদন্তকারী কর্মকর্তাগণকে নিরপেক্ষভাবে তদন্তকাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় ও সুবিচার পাবেন।
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাসের সঞ্চালনায় ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদ এর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন বেগম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান ভূঞা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন-অর-রশিদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা ইয়াছমিন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিম, ব্লাস্টের কো-অর্ডিনেটর মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন, সিলেটের প্রবেশন অফিসার মো. তমির হোসেন চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিনের প্রভাষক ডা. এম বজলুর রহমান, সিলেট বনবিভাগের ফরেস্ট রেঞ্জার মো. শহিদুল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট সুকুমার সাহা, বন আদালত সিলেটের দেওয়ান শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দীপংকর চন্দ্র পাল, নাজির মো. ফাইজুল ইসলাম, রের্কড কীপার লেনিন পোদ্দারসহ সিলেট জেলা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা ও ১২ টি থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন। আদালতে সাক্ষিদের হাজির করা ও গ্রেফতারি পরোওয়ানা তামিলে অগ্রগামী হওয়ার জন্য পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সের সমাপনি বক্তব্যে সভাপতি কাউছার আহমেদ গোয়াইনঘাট, বিয়ানিবাজার ও ওসমানীনগর থানার কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে পরোয়ানা তামিল ও ছক পর্যালোচনা, তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণে বিলম্বের কারণ পর্যালোচনা, পুলিশ কর্তৃক মামলায় সাক্ষি উপস্থিতকরণ, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আদালত চত্বরের নিরাপত্তার বিধান, ইনকোয়ারি বা ইনভেস্টিগেশন এর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরিকরণ, সময়মতো মেডিকেল সার্টিফিকেট, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, ফরেনসিক ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তির বিষয়ে মুক্ত আলোচনা হয়। বিজ্ঞপ্তি