গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলায় মঙ্গলবার দিনভর টানা ভারি বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সকাল আটটায় উপজেলায় বিদ্যুতের চমকানিতে বজ্রের তর্জন গর্জন ডাকে আকাশ হয়ে উঠে ভারী শুরু হয় বজ্রসহ ভারি বর্ষণ। এদিকে বিপদের আশঙ্কায় বিভিন্ন জায়গা হতে মানুষ বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
টিপ টিপ বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়া উপজেলাবাসীর কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে মাথা ব্যথার কারণ। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই প্রধান প্রধান সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল কমে গেছে। অটোরিক্সা চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীদের আনাগোনা ছিল কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা খুবই কম। সকালের দিকে অফিসগামী মানুষের চলাফেরা বেশি থাকলেও দিন যত গড়াতে থাকে মানুষের আনাগোনা কমতে থাকে। পেশার তাগিদে বা জরুরি কাজে যাঁরা বের হচ্ছেন, জলাবদ্ধতার কারণে সঠিক সময়ে গাড়ি না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের স্ট্যাণ্ডগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। গোয়াইনঘাট-বিছনাকান্দি সড়কের খাল খন্দক আর গর্তে বৃষ্টির পানিতে ছিল ভরপুর তাই যাত্রীদের যাতায়াতে অনেকটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
উপজেলার নিত্যদিনের বাজারগুলোতেও ছিল না মানুষের তেমন উপস্থিতি। বিকাল ৪ টার দিকে বৃষ্টি কমলেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল। বিকেলের দিকে আবার সড়কে যানবাহনের যাতায়াত অনেকটা দেখা গেছে। তবে মঙ্গলবার রাস্তায় পর্যটকবাহী গাড়ির দেখা যায়নি বললেই চলে।
সারাদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি নেমেছে পাহাড়ি ঢল। জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের জিরো পয়েন্টে সাদা পাথরগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশ সাব-জোনের ওসি রতন শেখ বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টিতেও থেমে নেই ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাব-জোন এর পুলিশ সদস্যদের ডিউটি। ঈদের পর ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে, পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধের ঘোষণা কার্যকর করার ঘোষণা অনুযায়ী জাফলং বিভিন্ন পর্যটক স্পটে পর্যটকদের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে কাজ করছে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। অতিবর্ষণের পর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে জাফলং জিরো পয়েন্টর সাদাপাথর পল্লী।