কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীন সরকারের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা চলমান টিকা কার্যক্রমে গতির সঞ্চার করবে বল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ শ্রেণীর যেমন মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং ল্যাবরেটরিতে যে সকল টেকনোলজিস্ট কাজ করছেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করোনা রোগীর সেবা করছেন তাদেরকে এ টিকা দেয়া হবে। ধাপে ধাপে তাদেরকে এ টিকা দেয়া হবে। ঈদের পর এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’
বুধবার (১২ মে) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ সব কথা বলেন।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সিনোফার্মের টিকা ক্রয়ের প্রচেষ্টা চলছে। আশা করছি বন্ধুপ্রতীম দেশ চীন এ ব্যাপারে সাড়া দেবে এবং খুব শিগগিরই ক্রয়কৃত টিকা দেশে পৌঁছাবে।’
তিনি বলেন, ‘চীনের ক্রয়কৃত টিকা আসলে প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম আবার শুরু হবে।’
বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজের ১২/১৩ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে বলেও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার সংক্রমণরোধে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরিধান, ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নিয়ম আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি। রাজনীতিবদ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বর্ষা মৌসুম ও ঝড়বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রত্যেকে সচেতন থেকে ডেঙ্গু মশা প্রজননের উৎসস্থল ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবমুক্ত থাকা সম্ভব হবে।’
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রার্দুভাব কমে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ ওষুধ সামগ্রীর মজুদ রয়েছে।’