দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে নগরীতে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

7
লকডাউনে সিলেট নগরীতে যারাই বিনা প্রয়োজনে বেড়িয়েছেন তাদেরকেই পুলিশী তৎপরতার মুখে পড়তে হয়েছে। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সেই সাথে নগরীতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। লকডাউনের প্রথম দিনে পুলিশ কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করলেও দ্বিতীয় দিন থেকে সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দেয়নি। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়।
এছাড়া কালিঘাট ছাড়া পুরো নগরী প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সেই সাথে সিলেটের অধিকাংশ আদালতের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযান শুরু হওয়ার খবর সিলেটে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই যার যার বাসা-বাড়িতে চলে যান। এমনকি গেল সপ্তাহে সরকারের লকডাউনে পুরো সিলেট ছিলো এক ব্যস্ততম নগরী। দ্বিতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নিত্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জরুরী সেবা চালু থাকলেও ব্যস্ততম এই নগরীতে মানুষের আনাগোনা একেবারেই নেই বললেই চলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, সোহবানীঘাট, মেডিক্যাল রোড, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারিতে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই নেই। সেই সাথে এসব এলাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাহির হওয়ার কারণে তাদেরকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এছাড়া নির্দেশনা না মানায় সিএনজি অটোরিক্সা ও রিক্সা থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় পুলিশ।
সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। একমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকলে এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এসএমপি পুলিশের ৬টি থানা এলাকা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। সেই সাথে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।