স্টাফ রিপোর্টার :
এক মাসের ব্যবধানে সিলেটে হত্যাকান্ডের সংখ্যা বেড়েছে দেড়গুন। ১ মার্চ থেকে শুরু করে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটেছে ৩২ টি হত্যাকান্ড। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেটে হত্যাকান্ডের সংখ্যা ছিল ১৫টি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, তুচ্ছ কারণে একের পর এক খুনের মতো ঘটনা ঘটছে সিলেট অঞ্চলে।
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে পারিবারিক কাঠামো ছোট হয়ে আসায় এবং সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রস্তুমপুর ইউনিয়নের কাঠালবাড়ীকান্দি গ্রামে ১ এপ্রিল জলমহাল (মনুগাং) প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬ টার সময় উপজেলার ইটাছকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম আহমদ আলী, (৫৫)। গত ২ এপ্রিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটেছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুরভী আবাসিক এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত নারীর নাম শাহীমা আক্তার (১৯)। স্ত্রী খুনের অভিযোগে স্বামী মাসুম মিয়া (২৪) কে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুম মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানার সুলতানশী গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। মৌলভীবাজারে স্বামীর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৩ এপ্রিল মারা যান মৌলভীবাজারের গৃহবধূ রুমি আক্তার। রুমি হামিদপুর গ্রামের আনোয়ারের স্ত্রী। এই ঘটনায় স্বামী আনোয়ার, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাহেলা বেগম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে ২৬ মার্চ মামলা করেন রুমির ভাই আজহারুল ইসলাম। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আনোয়ার ও তার বাবা ইউসুফ মিয়া। বিয়ানীবাজার উপজেলার খশির সড়ক ভাংনী এলাকার শিশু শাওন (৮) ৪ এপ্রিল সকালে তার বাড়ীর পাশে একটি খালে থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। একই দিন দিবাগত রাতে দক্ষিণ সুরমায় ৪ রিক্সা চালকের মধ্যে গাজা খাওয়া অবস্থায় কাটাকাটির জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফরিদুল ইসলাম ম্যাজিক নামে এক রিক্সা চালক নিহত হয়েছেন। ৫ এপ্রিল সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে সৎ দুলা ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সৎ শ্যালক রাসিক মিয়া (২৯) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক দুলাভাই নাইজুল হক, সৎবোন ও সৎ মাকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। গত ২৮ মার্চ সুনামগঞ্জের নতুন কোর্ট এলাকার ১০তলা নির্মানাধীন ভবনে এক স্কুল ছাত্র খুন হয়েছে। খুন হওয়া স্কুল ছাত্রের নাম অনিক বর্মন (১৮)। সে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলীগাঁও গ্রামের প্রদীব বর্মনের পুত্র। ২৪ মার্চ সিলেট ও সুনামগঞ্জে একদিনে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি দক্ষিণ সুনামগঞ্জে। ২৪ মার্চ সকালে উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রাম থেকে ইমন আহমদ(১৪) নামের এক শিশুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত শিশুটি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র। একই দিনে অপর ঘটনাটি ঘটে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগরে। উপজেলার দক্ষিণ গোয়ালাবাজারে সকালে একটি পাথরবাহী ট্রাক ঢাকা মেট্রো ট (২২-৫২১১) নং গাড়ি থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম মুজিবুর রহমান (৪০), তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা। ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চা বাগানে গরু চরানোকে কেন্দ্র্র করে বাগালের (বাগানের পাহারাদার) দা’য়ের কোপে মনা পাশী (২০) নামে একজন নিহত হন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের সাগরনাল চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মনা অমরজিৎ বাগানের ১নং নতুন টিলা এলাকার শ্রীকুমার পানিকার পুত্র। ২২ মার্চ ছাতকে রহস্যজনকভাবে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের বিল্লাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম বেদানা বেগম (৪৭)। তিনি কালারুকা ইউনিয়নের বিল্লাই গ্রামের মনোহর আলীর স্ত্রী ও কালারুকা গ্রামের আতাউর রহমানের কন্যা। একই দিনে তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর ভারতীয় অংশের এক কিলোমিটার ভিতরে ঘোমাঘাট এলাকায় কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে এক বাংলাদেশির লাশ পাওয়া যায়। নিহত বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম সাইদুর রহমান। ২১ মার্চ সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গোলাপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন (৪২) কে খুন হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিপুর গ্রামের সড়কে সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে পালিয়ে যায়। শাহিন লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা। একদিনে ২০ মার্চ পৃথক ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে ৪ জনের। ওইদিন বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইমরান আহমদ সায়মন (২২) নামের তরুণ ব্যবসায়ী খুন হন। তিনি পৌর এলাকা দক্ষিণ মসুলা (জানাইয়া) গ্রামের মছলন্দর আলী মছনের পুত্র । একই দিনে মৌলভীবাজারের জুড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাপ্পা মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ঐদিন ভোর ৪টার দিকে ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তি একই এলাকার আবদুর রউফের পুত্র। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আশরাফ হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ একইদিন উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ার মাইজের মহল্লা এলাকার একটি ঝোপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আশরাফ একই জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে।
এদিকে, ওইদিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে স্বামীর কাঠের আঘাতে স্ত্রীর মর্মাক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের সাজিদ উল্লার স্ত্রী গেধনী বেগম (৫২)কে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাতক স্বামী কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই গেধনী বেগম অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৮ মার্চ দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের গোটাটিকর থেকে জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।ঐদিন সকাল ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের ফুলভরী গ্রামের আব্দুল হোসেনের পুত্র। একইদিনে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভোরে উপজেলার দ্বিগম্বরবাজার থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের লামাপুটিজুরী গ্রামের সন্দীপ দাসের স্ত্রী অঞ্জলী (৩৫) ও তার মেয়ে পূজা (৮)। ১৭ মার্চ হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে বীরেশ দাশ (৬৫) নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ মার্চ দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত কেবিনের দরজা ভেঙে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বীরেশ দাশ শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা ও বানিয়াচং উপজেলার নজিরপুর গ্রামের মৃত মহেশ দাশের ছেলে। ১৬ মার্চ প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাজনিন আক্তার (১৮) নামের এক স্কুল পড়ুয়া তরুণীকে খুন করে কথিত প্রেমিক। মঙ্গলবার সকালে ১০টার দিকে এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনায় ঘাতক নাজিম উদ্দিন পাশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাজনিন বালিঙ্গা গ্রামের সামসুল হক চৌধুরী’র পালিত কন্যা। ১৫ মার্চ জালাবাদ থানার শিবেরবাজারে এক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মহিলার নাম ময়মুন নেছা (৫৮)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মখন মিয়ার স্ত্রী। ১৩ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুর নগর গ্রামে দু’পক্ষের লোক জনের সংঘর্ষে শাহ মুল্লক (৪৫) নামের ১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার পিয়ান নদীর উত্তর পাড়ে সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ মুল্লক নুর নগর গ্রামের আবদুস সালমের পুত্র। ১২ মার্চ মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের নাম লক্ষণ পাল (৩৫)। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কের গোয়ালগাঁও প্রবেশের রাস্তার ডান পাশ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত এক পুরুষকে উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।
৭ মার্চ শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান স্বামী। সেখানে রাত ১২টার দিকে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন স্বামী আয়নুল হক। ওই সময় নিহত সুফিয়া বেগমের বোন ইনজেশন পুশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে আয়নুল জানায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ইনজেশন দেয়া হয়েছে। রবিবার সকালে তিনি মারা যান। পরে স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত স্বামী মো.আয়নুল হক কোতোয়ালী থানাধীন বাগবাড়ি এলাকার মাসুক মিয়ার পুত্র। নিহত সুফিয়া বেগম এয়ারপোর্ট থানার খাদিম চা বাগানের মিত্রিঙ্গা লাইন বরইতলা গ্রামে মৃত হারুন মিয়ার কন্যা। ৬ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও সীমান্তে বিজিবি’র সাথে গরু চোরাকারবারিদের সংঘর্ষে ১ চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম কামাল মিয়া। তিনি রঙ্গাচর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ৫ মার্চ মোগলাবাজার কুচাই ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে স্বামীর ঘুষিতে স্ত্রী মারা যান। শ্রীরামপুর দক্ষিণ পাড়ার নুর মিয়ার ছেলে শাহিদ আহমদ মোগলাবাজার থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে শমসেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি নিয়ে কথা- কাটাকাটির জেড়ে সিএনজি চালক জলিল মিয়া প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। নিহত চালক জলিল মিয়া আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর বস্তির বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার ছেলে। একই দিনে সুনামগঞ্জের ছাতকে অজ্ঞাতনামা আনুমানিক ২০ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐদিন দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ বাগবাড়ী আবাসিক এলাকার একটি জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩ মার্চ বুধবার গোলাপগঞ্জের বাঘায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে লাকী বেগম (২৩) নামক এক গৃহবধূ খুন হন। উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তার স্বামী দানা মিয়াকে (৩৪) আটক করে পুলিশ। তিনি বাঘা দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের সুনা মিয়ার পুত্র।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো.জেদান আল মুসা বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়লে নিষ্ঠুরতার মাত্রা বেড়ে যায়। খুনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আমাদের প্রত্যেকটি থানায় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতাবৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাছাড়া এই বিষয়গুলো নিয়ে রেঞ্জের সকল অফিসার ও ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো.ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রতিটি ঘটনার কারণ হচ্ছে ভিন্ন। যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে তার পিছনের কারণগুলো উদঘাটনে কাজ করছে পুুলিশ। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে বিশ্বনাথে যে ঘটনা ঘটেছে এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে ও গোলাপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর স্ত্রী খুনের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে ঐ এলাকার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন করা হচ্ছে।