কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউন চলাকালে সরকার জনসাধারণের চলাফেরার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। এই নিয়মের পরিপন্থী হলে প্রশাসন তাদেরকে জেল-জরিমানার আওতায় আনছে। সোমবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রবেশ মুখ খাগাইল পয়েন্টে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকর করতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্যের নেতৃত্বে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলা মোবাইল কোর্টের অভিযানে ২১ টি মামলায় ১৯ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল সহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এতসব কড়াকড়ির মধ্যেও জনসাধারণের মাঝে লকডাউন মানার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। গতবছর সাধারণ মানুষের মাঝে লকডাউন মানার যে আগ্রহ ছিল তার অর্ধেকও মানছেন না তারা। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের মতো দোকানপাট খোলা রয়েছে। ক্রেতারাও কেনাকাটা করছেন আগের মতো। রেস্তোরাঁয় চলছে আগের মতো খাবার পরিবেশন। যদিও সরকার ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল লকডাউন এর সময় রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করা যাবে না। রাস্তায় চলছে যাত্রীবাহী গাড়ি। অবাধে চলছে ট্রাকও। বেশিরভাগ ড্রাইভার ও যাত্রী মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, পড়ছেন না মাস্ক। তবে ভোলাগঞ্জ-সিলেট রোডে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।